কাব্যে উপেক্ষিতা
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
তোমরা এবং আমরা, সবাই জানি রামচন্দ্র
চোদ্দ বছর বনবাস করেছিলেন,
সীতামা, তাঁর সঙ্গে সঙ্গেই ছিলেন,
ভাই লক্ষণও, দাদার সাথে গেছিলেন।
রাম সীতার গল্প, রামায়নের গল্প
কেউ কি জান, লক্ষণ জায়া উর্মিলার
ত্যাগের কথা, দীর্ঘ চোদ্দবছর স্বামিহীন
উর্মিলার ত্যাগ, মনোকষ্টের যন্ত্রণার।
স্বামীহিনা উর্মিলার, কি ভাবে দিন কেটেছে,
একাকী বিরহে আর অসহ্য বেদনায়,
তাই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন,
ঊর্মিলা ছিলেন কাব্যে উপেক্ষিতার ভূমিকায়।
বন্ধুরা সে যুগটা ছিল, রামায়ণের যুগ,
এখন একবিংশ শতাব্দীর, ঘোর কলি,
মানুষ লোভ, হিংসা, লাম্পট্য, বর্বরতায় ভরা
অহিংসা, ত্যাগ, ক্ষমা, দয়া, গেছে ভুলি।
তিলোত্তমা চলে গেল, জানোয়ারদের অত্যাচারে
সারা দেশ স্তম্ভিত, এ আমার, তোমার,
সারা বিশ্বের, অপমান, আর চরম লজ্জা,
আজও বিচার পাইনি, ক্ষোভ জনতার।
শরৎ আকাশে, মায়ের আগমনী বার্তা,
ভোরের শিশির বিন্দু, শিউলি ফুলের ওপর,
তিলোত্তমা হীন পুজ, চৈত্রের ঝরা পাতার মত
পৃথিবী যেন ঘুমিয়ে আছে, ঘুমিয়ে সব নগর।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে। লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।