জাগো

-শান্তি দাস

≈≈≈≈≈≈≈≈

জাগো মা রুদ্রাণী রূপে করো অসুর সংহার,

কাঠামোতে মাটির প্রলেপ সৃষ্ট মায়ের মুখটি বড়ই টানে ।

প্রাণের সঞ্চার করতে তুলির টানে মৃন্ময়ী মায়ের চক্ষুদানে,

জগৎ জুড়ে আঁধার পতি মহিষাসুরেরা মৃর্ত্যহীন ।

জাগো মা তোমার চক্ষুদানে ত্রিনয়নী মা এসো ভুবনে,

দীন দুঃখীণী ভক্তরা সবার কামনা বাসনা একমনে।

আকাশে বাতাসে শিশিরের ফোঁটা শিউলি ও কাশে,

মা আসছেন বছর ঘুরে শোন গো মা বলি একান্তে।

হয়ো না মাগো হতবাক তোমার ধরণী রক্ষা করো,

শোন কান পেতে ধরণী মাঝে চারিদিকে হাহাকার ধ্বনি ।

মায়ের প্রতিমা মনের মতন নির্মাণ করি মাটি দিয়ে,

আবেগী হৃদয়ে আর অনুরাগে করি আরাধনা মায়ের চরণে।

কত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে পুজো করা মাটির প্রতিমা,

চরণ ছুঁয়ে অঞ্জলি দিয়ে চাই আশীর্বাদ করো মা।

ঘরে তো মা জ্যান্ত প্রতিমা কেউ তো রাখে না খোঁজ,

মায়ের গর্ভে হয়ে ও তাকে দিয়ে দেয় জ্যান্ত বিসর্জন।

জাগো মা এসো ধরাধামে মৃন্ময়ী মায়ের চিন্ময়ী রূপে,

নারীর সম্মান লুটে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার মাঝে।

অন্যায়কারীদের সাজা দাও তোমার রনং দেহীর অস্ত্রবলে,

মাটির প্রতিমা নয় প্রতি মায়ের মধ্যে জাগ্রত প্রতিমা রূপে।

≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি=

ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি।

১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু করি।ছোটবেলা থেকেই লেখার আগ্রহ ছিল ।আজ মুখবইয়ের দৌলতে বিভিন্ন জায়গায় লেখার সুযোগ পাই।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*