প্রলয়ঙ্করী বন্যা
-অরূপ দাস
∼∼∼∼∼∼∼
বন্যা বন্যা একি তার তান্ডব!
মাঠ ঘাট থৈ থৈ,ঘরবাড়ি ভাঙে সব।
অহরহ বৃষ্টি, ঝরে যেন ঝর্না,
কূল ভাঙে নদী আজ, নিদারুণ বন্যা।
সম্মুখে যাহা পায়, করে সব ধ্বংস,
সভ্যতা রূপে নদী এ কিরে নৃশংস!
বাঁধ ভেঙে জল ছোটে, বিকট আওয়াজ,
এ কি গো কড়াল রূপ বরষায় নদী আজ!
যায় প্রাণ, নাই ত্রাণ, ওঠে হাহারব।
লাফ দিয়ে চলে নদী,নিচু পেলে ঝাঁপ,
ফোঁসফোঁস করে নদী অজগর সাপ।
নদী আজ করে গ্ৰাস যত লোকালয়,
জল জলে জলময়,সদা প্রাণ সংশয়।
নাই জল, নাই আলো, নাইরে খাবার,
কোথাও নাই ডাঙা পালিয়ে যাবার।
ডুবে গেছে পশুদের থাকিবার ঘর,
খাদ্যের সংকট ভয়াল ভয়ংকর;
বন্যায় ভেসে যায় যত ধন বৈভব।
বন্যায় ডুবে গেছে বরষার ফসল,
নদী আজ যত ডাঙা করেছে দখল,
ভেঙে গেছে পথ সব নাই চিহ্ন কিছু;
জল-তোড়ে ডাঙা যত খুলে হয় নিচু।
বন্যায় হানি হয় কত প্রাণ দুর্লভ,
বন্যা অভিশাপ, অমূলক গৌরব।
বন্যার পরবর্তী রূপ আরো ভয়ঙ্কর
চারিধারে ধ্বংসস্তূপ ভাঙাচোরা ঘর
গলা মাটি,দলা পথ,যায় নাকো চলা
কোথাও বদ্ধ জল আছে এক গলা
ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব হয় উদ্ভূত,
মহামারী মহা রূপে হয় আবির্ভূত।
পচা জলে পরিবেশে বৃদ্ধি পায় দূষণ,
মানুষ আজ সম্বলহীন দুঃস্থ ভীষণ;
বন্ধ হলো বাঙালীর শারদীয়া উৎসব।
∼∼∼∼∼∼∼