শিক্ষাগুরুর দীক্ষালোকে
-বিজয়া মিশ্র
≈≈≈≈≈≈≈≈
নিত্য কত যে শিখছি সবার কাছে
নিয়ত ভালোমন্দের ঝুলি ভরে,
সবার চেয়ে স্মরণীয় এ জনমে
যিনি উজ্জ্বল সততঃ মনের ঘরে।
যে তুমি আমায় আঁধার গর্ভ হতে
আলোর ধরায় এনে করেছো ধন্য,
তোমায় আজও খুঁজি নিরন্তর
যখন এ ধরা নীতিহীনতায় পূর্ণ।
মনে পড়ে কত আদর মাখা ক্ষণ
শাসনের পরে স্নেহময় প্রীতি স্পর্শ,
একটু একটু এগিয়ে দেওয়ার দিনে
প্রথম সাফল্যে গাম্ভীর্যে তোমার হর্ষ।
এতটুকু আলো অন্তরে পাই খুঁজে
আঁধার ভেদি ক্ষীণ সেই দ্যুতি এখনো,
শিয়রে অতন্দ্র প্রহরীর মতো বলে
বিবেক শিখায় অন্তরে আছি জেনো।
চকিতে হুঁস ফেরে ক্লান্তিরেখায়
বোধে উদ্বোধনের সে জাগৃতি,
শিক্ষাগুরুর মিঠেকড়া স্নেহ শাসন
মাথায় আশীষ তাঁর দেওয়া সেই দ্যুতি।
যখনই কোথাও ভাবনা হোঁচট খায়
তখনই তাঁদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ,
তাঁদের দেখানো পথেই যুক্তি বুদ্ধি
প্রতি পলেই তো প্রতিদিন করে ঋদ্ধ।
তুমি দিবসের কেন্দ্রে একথা মানিনা
তুমি তো বিরাজ করো মোর অস্তিত্বে,
নিজের আলোয় যে জগৎ চিনিয়েছিলে
রোজ প্রলেপ লাগিয়ে বাঁচা সেই কাঠামোতে।
≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি
বিজয়া মিশ্র পাহাড়ী র জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। বর্তমানে কলকাতাবাসী ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই,শিক্ষিকাগণের উৎসাহে।চরম দারিদ্রের মধ্যেও সব বাধা টপকে যাওয়ার অদম্য স্পৃহা আশৈশব পায়ের তলায় মাটি খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে। বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান -সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই কবির কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।