কোলকাতার ট্রাম
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
∼∼∼∼∼∼∼
কোলকাতা তথা সারা বাংলার
ঐতিহাসিক ঐতিহ্য গুলো যদি
দিন দিন এভাবেই এক এক করে
কালের স্রোতে চিরতরে হারিয়ে যায়।
কে নেবে তার দায় ? ভালো-মন্দ, দ্বন্দ্ব,
আইনি বাগ্বিতন্ডা, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
চলতেই থাকবে, না বিজ্ঞান উন্নত থেকে
উন্নততর হয়ে যেতে যেতে আবারো।
সকল বিশ্ব ঐতিহ্যকে শেষ করে দিয়ে
একদিন হয়তো তারা লজ্জায় মুখ ঢাকবে ?
আপামর মানুষের কত ছিল ভালোবাসা।
পুরোনো হারিয়ে এখন শুধুই যেন হতাশা
উন্নততরের জন্য আগামীর প্রত্যাশা।
∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত রয়েছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
একক কাব্য গ্রন্থ ‘ অনুভব ‘ ‘ অনুরণন ’ ও ‘অপরাহ্নের প্রেয়সী ‘ ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , ‘ অনুরাগ ‘ ( হাইকু শৈলীতে ) , ‘ অনুভূতি ‘ ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , ‘ অনুভা ‘ ( অনুভাষ শৈলীতে ) প্রকাশিত হয়েছে । সম্পাদিত বিদ্যালয় পত্রিকা ” তিতাস ” ।
রাজ্য দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলা সাহিত্য সাধনায় ব্যাপ্ত রয়েছেন।
রুক্ষ মাটির ঊষরতা কবিকে করেছে আত্মপ্রত্যয়ী, মধ্যবয়সে এসে জীবন বোধে স্থিতপ্রাজ্ঞ হয়ে জীবন সম্পর্কে কবির বহুবর্ণীল অনুভূতি মালা সদ্য প্রকাশ পেয়েছে ” অনুভাবিত ” বিশেষ কবিতা সংকলনে।