বিহঙ্গী রোদন
-রাজীব কুমার দাস
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
রাতের গভীরতায় নামে অজস্র প্রশ্নধারা
নিরবতার প্রাচীর ভেঙে শুরু হয় আন্দোলন,
মনের গহীনে উঁকি দেয় কিছু বেনামি সুখ
অযাচিত যাতনায় কিছু আর্তনাদ বিহঙ্গী বেদনে।
কিছু শূন্যতা ঘিরেছে চারপাশ থেকে
সভ্যতার শাসন ভেঙে নৈরাজ্যের আহবান,
আমারি মাঝে জেগে ওঠা আরেকটা আমি
কিছু আলাপন আর কিছু গণিতের হিসেব।
প্রশ্নরা শুধুই উত্তর খুঁজে
আমি অতীতের পাতায় উত্তর খুঁজে ফিরি,
যে উত্তর অনন্ত আঁধারে কভু হয়েছিল বিলীন
অভিমানী উত্তর আজও খুঁজে পায়নি তার দেহ।
আমার চারপাশে ঘৃনা-তিক্ততার কষাঘাত
অবুঝ চোখে আমার করুন চেয়ে থাকা
বিষাক্ত গ্লানির অর্ঘে ওরা আমায় করেছিল বরণ
নিরবতার সুরে তা গ্রহণ করেছি সানন্দে।
আঁধার ঘুচিয়ে পূবের আকাশে জেগেছে আরেকটি প্রভাত
প্রশ্নগুলো ঝাপসা হতে হতে অদৃশ্যে মিলায় শুভ্র আভায়,
শান্ত পবন স্নানে অবশেষে পূন্য হয়ে উঠি
নিজেকে গুটিয়ে অতঃপর মেতে উঠি আরেকটি দিনের সূচনায়।।
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি-
জন্ম ৩১ ডিসেম্বর এক মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারে। বাবা সরকারী চাকুরে এবং মা গৃহিনী। শৈশবে মায়ের হাতেই হতেখড়ি তারপর মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের পথ পেড়িয়ে রসায়নে সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করতেই একটি স্কুল এন্ড কলেজে পার্টটাইম (রসায়ন)শিক্ষকতা করেন এবং পরবর্তীতে এমবিএ (ফিন্যান্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার পাশাপাশি বই পড়া ছিল অন্যান্য শখগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০১০ এ একজন সরকারী চাকুরে হিসেবে নিজেকে স্থীর করেন এবং কবিতা ও অনুগল্প নিয়ে লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। সম্প্রতি বইমেলা-২০২৩ ও ২০২৪ এ প্রকাশিত হয়েছে দুটি সমকালীন উপন্যাস নিশিকুমারী ও নিকুঞ্জ নিকেতন। মিশুক স্বভাব ও ভ্রমন পিপাসু মনের জন্য তিনি শুভাকাঙ্খি ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে বেশ প্রশংসিত।