আগমনী
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
প্রকৃতি সেজেছে দেখো অপরূপ সাজে, দ্বারে এসেছে শরৎ বলে
আকাশের দিগ্বিদিকে তুষ্ট মেঘের পানি ভেসে চলে।
দশদিশ মুখরিত হল শরৎ আগমনীর সুরে সুরে ছন্দ গানে
মা যে আসছেন ত্বরা করি ধরায় যত অশুভ মানব দানব নিধনে।
আসছে পরব, মোদের গরব শারদ উৎসবে বাড়াতে মান
মহালয়ার পূণ্য বিহানে, শুরু দেবী পক্ষের আগমনী গান।
ঐ আকাশের বনে বনে লাগল মৃদুমন্দ বাতাসের দোলা।
পূজোর আনন্দে মহাসোমারহে আজিকার জীবন পথেচলা।
আমি শুধু নীরবে চেয়ে থাকি ভাসমান শুভ্র মেঘের পানসি পানে
আনন্দ কারে কয় তা তো জানি না, চির দুঃখের পিছুটানে।
দুইবেলা ভরপেট খাবার জোটানো দায় হয়েছে যাদের
পূজোর এ আনন্দ মা গো সাজে কী তাদের?
মা তুমি এসো দুহাত প্রসারিত করে, কোন অশুভ ছায়া যেন
আর থাকে না মা, আগামী যাপিত দিনে এই ধরিত্রীর কোণে কোণে।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত রয়েছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
একক কাব্য গ্রন্থ ‘ অনুভব ‘ ‘ অনুরণন ’ ও ‘অপরাহ্নের প্রেয়সী ‘ ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , ‘ অনুরাগ ‘ ( হাইকু শৈলীতে ) , ‘ অনুভূতি ‘ ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , ‘ অনুভা ‘ ( অনুভাষ শৈলীতে ) প্রকাশিত হয়েছে । সম্পাদিত বিদ্যালয় পত্রিকা ” তিতাস ” ।
রাজ্য দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলা সাহিত্য সাধনায় ব্যাপ্ত রয়েছেন।
রুক্ষ মাটির ঊষরতা কবিকে করেছে আত্মপ্রত্যয়ী, মধ্যবয়সে এসে জীবন বোধে স্থিতপ্রাজ্ঞ হয়ে জীবন সম্পর্কে কবির বহুবর্ণীল অনুভূতি মালা সদ্য প্রকাশ পেয়েছে ” অনুভাবিত ” বিশেষ কবিতা সংকলনে।