মাটির মায়ের সম্মান

-আবুল হাসমত আলী

∞∞∞∞∞∞∞

শুরু হলো ইংরেজ শাসন ভারতের মাটিতে,

ভারতবাসী ভীত সন্ত্রস্ত ইংরেজদের দাপটে।

চাষিবাসী কামার কুমোর সবার হলো মরণ,

শ্বেতাঙ্গদের অত্যাচারে তিক্ত হল জীবন।

তবু তখন নিজের মায়ের কদর ছিল ঘরে,

যতক্ষণ না বিপ্লবীর দল তাদেরকে দূর করে।

মাটির মায়ের পূজা শুরু হলো সমারহে,

ঘরের মাতা সেদিন থেকে বিরহ বক্ষে বহে।

ঈশ্বরচন্দ্রের মাতৃ পূজা তার তো নিজের মাকে,

নারীর সম্মান তার নিকটে ছিল প্রথম থেকে।

সেটা শুধু বইয়ের পাতায় স্থান পেল চিরকাল,

বাকিরা সব ঢোল পিটিয়ে নাচছে সকাল বিকাল।

এমনি করে মাটির মায়ের সম্মান গেল বেড়ে,

নিজের মাকে কেউ কেউ এখন লাথি ঝাঁটা মারে।

মাটির মায়ের জন্য খরচ বছরব্যাপী সঞ্চয়,

জন্মদাত্রী অর্থাভাবে অপলক চেয়ে রয়।

কেউ দেখেনা শুধু ওই চাঁদ ফ্যালফেলিয়ে তাকায়,

নিস্তব্ধতা বুঝিয়ে দেয় ব্যথাটা ঠিক কোথায়।

∞∞∞∞∞∞∞

কবি পরিচিতি:

আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*