ভাঙনের পথে

-তনুশ্রী বসু (পাত্র)

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

আকাশ আছে মাথার ওপর

দিগন্ত বিস্তৃত, মহাশূন্যের পথে,

সমুদ্রের ঢেউ, আছড়ে পড়ে, তটে,

ভয় পাইনা একটুও, দৃঢ় মনোরথে।

ভোরের সূর্য, সোনার আলো নিয়ে,

পাখি ডাকে, ফুল ফোটে নিত্যদিন,

এসব তো সাধারণ ঘটনা, প্রকৃতির নিয়ম,

ভাঙন ধরে নদীর বুকে, প্রতিদিন।

এ ভাঙন দেখা যায়না, ধীরে ধীরে,

একপার ভাঙ্গে, অপর পার ভীত,

এই বুঝি ঢেউ, লাগবে, আমার বুকে,

ভাঙবে পাড়, ভাসবে নিরপরাধ মৃত।

সৃষ্টির মাঝে আনন্দ, উত্তেজনা, বদনাম নেই,

জন্ম থেকে মৃত্যু, একটা জীবনের যাত্রাপথ,

হিমালয় হতে, বয়ে আসছে যে নদী, ভাঙনের

ফলে, মনোবল হারায়, বদলায় আপন গতিপথ।

শূন্য এ হিয়া, দিশাহারা, কেমনে বাঁচাব সবারে,

মানুষ, পশু, পাখিকে বাঁচাতে কি পারব আমি ?

নিতান্ত সহজ নয়, এই কাজে সফল হওয়া,

অনিশ্চিত, ভাবিয়া নদী, দিগন্তে রে নমি।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতি:-

আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর তিনেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেন ও সাহায্য করেন। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে। লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*