রেল যাত্রাতে
-মীর সেকান্দার আলী খোকা
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, অপেক্ষমান যাত্রী,
সবে মাত্র লৌহপথগামীনি স্টেশানে দাঁড়ালো।
উপচে পড়া ভিড়ে অন্য যাত্রীদের সাথে
আমিও খুঁজছি টিকিটে নির্ধারিত কক্ষ- আসন।
হাওয়াই যানে কখনও চাপা হয়নি,
তবে ইচ্ছের শেষ নেই
ইচ্ছেগুলো ফলাতে মনে মনে দৌড় দেয়
একাত্তরের ঘাটে।
এ’টা বাংলাদেশ, প্রিয় মাতৃভূমি,
উর্বর উদার বক্ষচিরে জন্মেছি আমরা লক্ষ্য ভাই বোন।
একটু আধটু জটলা ঠেলাঠেলি করেই
জায়গা করে নিতে হয় সব যাত্রা পথেই ,
আজও তায় হলো।
ঈদ, পুজো, ক্রিসমাসডে তে উৎসবের একটা আলাদা
বৈচিত্র ফোটে এই বাংলায়,
অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে লৌহসকটে মটরযানে
চেপে বসি।
ব্যক্তি বিশেষে কি মনে হয় জানি না,
আমার কাছে মনে হয় সম্প্রীতি সমন্বয়ে এক মেলবন্ধন।
বেশ মন্দ না, ঝকর ঝকর শব্দে চলছে গাড়ি,
আকাশে মেঘ,কষ্টের বুক চিরে উকি দেয় চাঁদের আলো
আপ্লুত মন কখনো চেয়ে থাকে চাঁদে,
কখনো বা সময়ের ভিড় ঠেলে গন্তব্যের প্রহরগনে।
যমুনায় পৌঁছালে প্রভাতে আলো ফোটে দিগন্ত রেখায়
স্পষ্ট চোখে দেখি নব্য রেলসেতু যমুনাতে।
তারা করে হৃদয় উৎসুক চোখ মেলে খুঁজি
নতুন কিছু,
ফোন এলো কন্যাদ্বয়ের, বাবা তুমি কোথায় ?
মির্জাপুরে, সামনে কোথাও লাইনচ্যুত হয়েছে গাড়ি
তাই ক্ষণ গুনছি, ঢাকা পৌঁছালে বলবে কিন্তু,
ঠিক আছে।
রেল লাইনের সমান্তরাল রেখা সুদূরে নন্দিত দৃষ্টি কারে,
মান ভালো হয়েছে দেখি।
তবুও মানহানি বোধ জাগে,এতকাল পরেও কেন জানি
কটাক্ষ করে সময়!
যান্ত্রিক ত্রুটি ফাঁকি দেয় চুরির আড্ডাতে।
চোর গড়েছি দীর্ঘ সময় এ যেন সরষেতে ভুত,
ভূতের মন্ত্র খুঁজি ওঝার দ্বারে
ওঝা ভুল মন্ত্র পাঠ করে অথবা ফাঁকি দেয় আঁতাতে।
সময় ফাঁকি দেয় কর্তব্যবোধে, কর্তব্য সরে যায় দূরে,
গন্তব্যে পৌঁছি সময়ের অনেক পরে।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
জন্ম: ১৫ ইং জুন, ১৯৬৬ ইং, বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে, শৈশব, কৈশোরের অনেকটা সময় সেখানেই কাটে। পিতা মৃত: সরকারি চাকুরে মীর মোক্তার আলী, মাতা মৃত: লতিফা খাতুন। ছোট থেকেই লেখালেখিতে অভ্যস্ত ,বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রিকাতে লেখা প্রকাশিত হয়েছে, যেমন: দৈনিক সানসাইন রাজশাহী। সংজ্ঞা+দৈনিক উত্তরা দিনাজপুর। সাপ্তাহিক জনরোব,ঠাকুরগাঁও। মাসিক ম্যাগাজিন একদিন প্রতিদিন+প্রিয়তমেষু, ঢাকা। বর্তমানে অনলাইন বিভিন্ন সাহিত্য পাতাতে লিখছি,
বিশেষ করে কবিতার পাতা উল্লেখযোগ্য।