অসংখ্য ক্ষিদের আগুনে
-বিজয়া মিশ্র
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
শিশু দিবসের আড়ম্বর উবে যায় নিঃশব্দে!
যখন অসংখ্য শিশু ঘাঁটছে কাদামাটি
রাতদিন রুক্ষ শুষ্ক আবাদে কচি কচি হাতে
জল ঢালছে সবুজের প্রাক্কালে
রোদের আগুন মেখে পান্তাভাত গিলে প্রশান্তিতে জিরোয়
ওরা জানেনা ইস্কুলের সিলেবাস
পরীক্ষার ঘোরাটোপ পাশ ফেলের মাহাত্ম্য !
ওদের জীবন বিপদসঙ্কুল,চলার পথে অসংখ্য বাধা
কেবল খিদে পেলে পেটের আগুন নেভানোর জন্য
হাড় খাটুনি ওদের উদ্বুদ্ধ করে তাড়াতাড়ি কাজ সেরে
নোংরা হাত ধুয়ে খাঁ খাঁ পেটে লোভাতুর চোখে
খাবারের থালা খোঁজায়।
শিশুর সরলতা পণ্য হলেই লক্ষ্মী লাভের মুখ দেখা সহজ হয়,
স্বল্প ব্যায়ে,একটি চকলেট,এক টুকরো খাদ্য দ্রব্যে
কী সহজলভ্য আমাদের সম্পদ
অতর্কিতে ধর্ষন খুন চোরাচালানের উপাদান ,
রক্ষকের লুকানো থাবায় পুঁজির উৎস
কিংবা ভোগ্যপণ্যের আধার আমাদের নাড়ী ছেঁড়া ধন।
মানব দূষণের বিষবাষ্প যতই হোক প্রগাঢ়
এতটুকু শুদ্ধ বাতাস ওদেরও পাপ্য যে…
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
বিজয়া মিশ্র পাহাড়ী র জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। বর্তমানে কলকাতাবাসী ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই,শিক্ষিকাগণের উৎসাহে।চরম দারিদ্রের মধ্যেও সব বাধা টপকে যাওয়ার অদম্য স্পৃহা আশৈশব পায়ের তলায় মাটি খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে। বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান -সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই কবির কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।