রূপরেখা
-রবিন রায়
≈≈≈≈≈≈≈≈
বিস্ফারিত নয়নে হেরেছি তব প্রকৃতি,
কি অপরূপা শোভা আদল আকৃতি ;
আদুল পদে যেদিন ছুঁয়েছিনু অধর,
তব বক্ষে পেয়েছিনু আদরের কদর।
দেখেছিনু তব নয়নে এ সূর্যের উদয়,
মেখেছিনু গাত্র জুড়ি জ্যোৎস্না তয় ;
পেয়েছিনু আমার শ্বাসে তোমার শ্বাস,
উষ্ণ ছোঁয়ায় ভরেছিনু সুদৃঢ় বিশ্বাস।
তোমার বনবাদাড় সরায়ে লয়েছিনু
আবেগের তাড়নায় পর্বত চড়েছিনু ;
ঢাল বেয়ে নামি পাদদেশের গুহায়,
পাই আমার আবেশের আশ্রয় সহায়।
তোমার অন্তরে যে রসস্ফিতি ছিলো,
তা যেন ঝর্ণা ধারায় ভাসিয়ে দিলো ;
আমি তাতে করেছি তৃপ্তির অবগাহন,
আমাতে আর তোমাতে মেটে সম্মোহন।
দেখেছিনু আলুথালু মেঘলা কেশরাশি,
তবুও তোমাতে ভরি পরিতৃপ্তির হাসি ;
আজও মনে পড়ে সে রূপের বাহার,
আজও ভরে আছে প্রেমের সমাহার।
দিবস যামী সনে কাটি গেছে বহুকাল,
মোর হৃদয় গহণে তব যে বিস্তৃত হাল ;
এ প্রভাব রইবে জানি ভাবে অবিচল,
এক তুমিই তো ভালবাসার ঠাঁই স্থল।
≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি ঃ—-
কবি ও সাহিত্যিক রবিন রায় একজন দুঃস্থ পরিবার থেকে উঠে আসা জন্ম লব্ধ কবি সত্তা প্রাপ্ত নবীন প্রজন্মের লেখক। তিনি ইং ১৯৮৫ সালের ৫ ই মে খ্রিস্টাব্দ জন্ম গ্রহণ করেন পশ্চিম বঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পশ্চিম ধনিয়া নামক গ্রামে। তাঁর পিতা স্বর্গীয় প্রফুল্ল রায় ও মাতা নির্মালা রায়। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় তিনি বিশেষ কোনো,ডিগ্রি অর্জন করতে পারেননি। তবে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন। নির্ধারিত কোনো পেশা নাই।
রোজ আনা, রোজ খাওয়ার মতো দারিদ্রতার সাথে দিনাতিপাত করছেন। তথাপি কেবল স্বভাবগত ভাব
ও ঐকান্তিক সদিচ্ছার কারণেই কলম ধরেছেন। তাঁর উৎকৃষ্ট কলমের বেশ কিছু কবিতা অনেক গ্রন্থে স্থান লাভ করেছে। প্রকাশক এবং পাঠক বর্গের নিকট কবির
একান্ত প্রার্থনা যে তারা যেন সর্বক্ষণ কবির সহযোগিতা করেন।সকল সুধী জনকে কবির তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং ফুলেল শুভেচ্ছা নিরন্তর।