নতুন ধানের নবান্ন
-শান্তি দাস
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
মাঠে মাঠে সোনালী ধানে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা প্রকৃতি,
নতুন ধান আসবে ঘরে কৃষকদের আনন্দ মনে প্রাণে ।
নতুন ধান কাটা ধানের প্রথম অন্ন খাওয়া নবান্ন উৎসব,
এই উৎসব যেন হৃদয়কে গাঢ় করার একটা অন্তরের উৎসব।
হেমন্ত এলেই দিগন্ত জুড়ে প্রকৃতি ছেয়ে যায় সোনালী ধানে,
পাকা ধানের সোনালী রঙ কৃষকের আনন্দ প্রাণে।
ঘরে ঘরে গোলা ভরা ধান বছর ঘুরে এসেছে অগ্রহায়ণ,
এমাস যে লক্ষ্মীর মাস প্রথম ফসল কাটা মায়ের দান।
বাঙালির জীবনে পয়লা অগ্রহায়ণ বার্ষিক সুদিন,
এই হেমন্তের প্রাণ নবান্ন উৎসব ঘরে ঘরে করা হয় পালন।
নবান্ন অর্থ নতুন অন্ন এই হলো ঋতু কেন্দ্রীক উৎসব,
এই মাসটি আবহমান ধরেই বাঙালিরা মেতে থাকে সব।
নাগরিক জীবনে নবান্নের শুভক্ষণের শুভছায়া ছড়িয়ে আছে,
হিন্দু ধর্মমতে অন্ন লক্ষ্মী তুল্য সবার কাছে।
দেবীর উদ্দেশ্যে উঠোনে আল্পনা দিয়ে ভোগ আয়োজন করে,
নতুন চালের খাদ্য সামগ্রী কাককে নিবেদন করে।
নতুন ধানে অসাম্প্রদায়িক উৎসব বাঙালির ঐক্য ভ্রাতৃত্বের বন্ধন,
নবান্নে গ্রামে বসে লোকমেলা পিঠেপুলির আয়োজন।
গ্রামের মাঠে বসে লোকনাট্য বাউল গানে মুখরিত আসরে পালাগান।
এই লোক উৎসবের আয়োজনে মুখরিত হয় গ্রামের লোকজন।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু করি।