যমুনাতে রেল সেতু

-মীর সেকান্দার আলী খোকা

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

উদার যমুনা, অপেক্ষমান ক্ষণ,

রেল যাত্রা হবে যমুনা নব্য রেলওয়ে সেতুতে।

এ মাহেন্দ্রক্ষণ কতই না উল্লাসের,

উচ্ছ্বাসে মানচিত্রে অঙ্কিত হবে নতুন অধ্যায়। পদ্মা-যমুনা, কর্ণফুলী ট্রানেল, রুপপুর,

অধ্যায়ের মৃদু আলো ভেদ করে প্রসারিত আলো

ছুঁয়েছে আকাশ,

যেন এক দিঘী আলো নিয়ে জ্বলছে প্রদীপ।

হাসছে আলো, আমিও হাসছি সাথে,

আঁধার তোরণের বিমুখ রুশ্নি চাঁদ মুখো আজ।

চাঁদ কালিমা মেখে সুদূরে-

যার কলঙ্ক রেখায় আলোক রঞ্জিত কানন।

কাঁদে চাঁদ,ধরণীতে আলো আসে কলঙ্ক ভেদি

নির্মল নভে তুই চাঁদ পহেলি।

রংচটা পালক ঝরা পাখি, সুদুরে দৃষ্টি মেলে প্রহর গনে,

পালক ঝরে রংচটে কতটা পালক-রং দিয়েছে অন্যকে।

শূন্য ধানের ক্ষেত ফসল উঠেছে ঘরে,

কৃষকের দীর্ঘশ্বাসে কেঁপে উঠে বুক ফসল ফলাতে

কত রাশি ঘাম ঝরেছে ক্ষেতে।

যে রেখা এঁকেছে কৃষক তিলে তিলে মাঠ জুড়ে,

বিশ্বপটে তার ছবি আঁকা, লজ্জিত,নুয়ে,নতশীরে

দেবীকে করিতে প্রণাম করজোড়ে।

পাপ বলে কে অপরাধে! পাপী নয় কে ?

পাপের কান্ডারী দেবতা সকলেই,

দূর্গাদ্বারে সকল দেবতাই পিয়েছে পানি তৃষ্ণা মেটাতে।

পাপ স্বর্গের ফসল,

পাপ ব’য়ে এসেছে পুষ্প বৃষ্টি ধরণী হয়েছে সুন্দর।

চেয়ে আছি মাহেন্দ্রক্ষণে রেল সেতু দেব পারি যমুনাতে,

আলোর ফসল দেখব দু’চোখ ভরে

তৃপ্তির দুয়ার খুলে হাসবে আমার বাংলাদেশ।

আনমনে বালুচরে ছবি আঁকি মাতৃত্বের,আঁকি পিতৃত্বের,

অচেনা উচ্ছাস আসে মুছে যায় আঁকা ছবি,

থেকে যায় জলছবি সম-হৃদয় পটে অম্লান।

স্বপ্ন ছুঁয়েছে কৃষক, পেকেছে ফসল, বিকিকিনি হবে

হতাশ কেটে ক্ষুধার পেট ভরবে সবার।

হায় যমুনা!

রেল সেতু তোমার বক্ষে দানা বেঁধেছে,

পথ ভার করে ছেড়ো না দীর্ঘশ্বাস,

বুক চিরে চলবে যখন রেল হুইসেল বাজিয়ে বক্ষে তোমার।

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

কবি পরিচিতি- 

জন্ম: ১৫ ই জুন,১৯৬৬ ইং, বিভাগীয় শহর রাজশাহী। শিশু ও শৈশবের অনেকটা সময় রাজশাহী অঞ্চলেই কেটেছে, পাঁচ ভাই, তিন বোন, আট ভাই বোনের মধ্যে কবি সপ্তম। পিতা মরহুম: মীর মুক্তার আলী, ব্রিটিশ শাসনামলে এস এস সি উত্তীর্ণ হবার পরে পিটিআই শেষ করে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন, পরবর্তীতে বিভিন্ন বিভাগে চাকরি করেছেন, এক সময় সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। মাতা মরহুম: লতিফা খাতুন, মাইনোর বাস। কবি ছোটবেলা থেকেই লেখালেখিতে অভ্যস্ত এটা প্রাকৃতিক ভাবে অন্তরে জড়িয়ে আছে। যে পত্রিকাগুলিতে নিয়মিত লেখা আসতো, দৈনিক সানশাইন রাজশাহী। দৈনিক উত্তরা, সংজ্ঞা, দিনাজপুর। সাপ্তাহিক জনরব ঠাকুরগাঁও। মাসিক ম্যাগাজিন একদিন প্রতিদিন, ঢাকা। বর্তমানে বেশ কটি অনলাইন পত্রিকায় লিখছি, স্বরলিপি পাবলিকেশন্স ঢাকা এবং কবিতার পাতা দিনাজপুর উল্লেখযোগ্য। ২৫ শে বইমেলাতে একক কাব্যগ্রন্থ আলো ছায়া থাকবে ইনশাল্লাহ। স্থায়ী নিবাস, ঠাকুরগাঁও সদর, ঠাকুরগাঁও।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*