
আবেদন
-এম এ হালিম শিশির
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
জীবনের এই পড়ন্ত সময়ে তোমার অনুনয়ে অশ্রু বুক ভেসে যায়।
শূন্য ধূসর পৃথিবীর পরিপূর্ণে তুমি ভরালে কতো প্রাণীর সমন্বয়ে।
তারি সাথে সাথে তাদের জীবিকা এবং তাদের লালন-পালনের দায়িত্বও তুমি নিলে কুদরতি ইশারায়।
একদিন এই পরিপূর্ণ পৃথিবী আবার শূন্য ধূসর কালোছায়া ভরে যাবে,তোমার একান্ত আধিপত্যের ইঙ্গিতে।
উঁচুনিচু সব ভূমি, নদীনালা, পাহাড় পর্বত আরো যতো সৃষ্টি,
সব মিলেমিশে হবে সমভূমি।
সেইদিন তোমার একান্ত করুণার আহ্বানে মুখরিত হবে
আজকের শ্রেষ্ঠ পদবীর পাপিষ্ঠ মানুষগুলোর কান্না জড়িত সুরে।
তোমার একত্ববাদের যারা দ্বারস্থ হয়নি,তোমার জ্ঞানান্বিতে যারা বেখর ছিলো তাদের মধ্যে আমিও এক নিকৃষ্ট গোলাম,
তুমিতো তুমিই যার নেই কোনো কারো সাথেই কোনোকিছুর তুলনা, একত্ববাদের মহা বিচারক।
তুমি এক আল্লাহ, কতো নামের পদবীতে তুমি অধীশ্বর।
সেইদিন পাপীদের দৃষ্টিনুরাগের প্রতি তোমার সকল ভালোবাসা দিও উজাড় করো,এই আমার একান্তই আবেদন।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
কবি এম. এ. হালিম শিশির ১৯৮৪ সালে কুমিল্লার বড়ুরা থানার বাতাইছরি বাজারের নিকটস্থল পোমতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতাঃ মোঃ মোখলেছুর রহমান, মাতাঃ ছায়ারা খাতুন ছকিনা বিবি। ঢাকার নারায়ণগঞ্জ জেলার পাশ্ববর্তী চিটাগাং রোডের হিরাঝিলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পেশায় তিনি একজন মেডিসিন ব্যবসায়ী। ১৯৯৮ সালে নিজ গ্রাম ত্যাগ করে পরিবারকে উজ্জীবিত করতে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অাসেন। কবি ছোট বেলা থেকেই জীবন যুদ্ধ করে বড় হয়েছেন। নানান চিন্তা চেতনা থেকেই ২০০৪ সালে কবি নিজেকে শত ব্যস্ততার মাঝে লেখালেখির মনোনিবেশন গড়ে তোলেন। সাহিত্যকে খুব ভালোবাসেন তাই তিনি লেখালেখির সাথে সাথে অনলাইন ভিত্তিক সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে জাতীয় কবি ও লেখক পরিষদ (জাকলেপ) এর সক্রিয় এডমিন। ভালো মানের লেখার জন্য ইতিমধ্যে তিনি জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন থেকে সম্মাননা পান। ২০২১ কবির প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ “স্মৃতির আলিঙ্গন” বের হয়। তার যৌথ কাব্যগ্রন্থ “কবিতার অভিসার”, “কবিতার ছায়াপথ”, ” গল্পটা কবিতার ও কাব্যের”, “কষ্ট প্রহর” এবং “কবিতার প্রণয়”। এই বইটি তার ষষ্ঠ যৌথ কাব্যগ্রন্থ।।