অসময়ের উল্লাস
-প্রকাশ চন্দ্র রায়
≈≈≈≈≈≈≈≈
কতবার কতশত দ্বারে বাড়িয়েছি অনুরাগী হাত,
অণুমাত্র অনুকম্পাও দেখায়নি কেউ,
করুণা’র কণামাত্র করেনি দান;
ফিরিয়ে নিয়েছে সবমুখ বিরূপ বিলাসে!
কতশত ফুল ফুটেছিল বসন্ত বয়সে,
সুমিষ্ট সুবাস কত ছড়িয়েছিল অতুল উল্লাসে
আঞ্চলিক বাতাসে।
আসেনি ছুটে প্রজাপতি কোন ফুটন্ত ফাগুনে,
বসেনি বুকে সুঘ্রাণ নিতে।
কাঁদতে কাঁদতে ঝরে গেছে ফুলসব
অধীর অপেক্ষা শেষে।
বসন্ত শেষে আজ গ্রীষ্মদগ্ধ মনে,
ক্ষণে ক্ষণে কতজন কতভাবে প্রণয়পুষ্প ফোঁটায়
অতিশয় আগ্রহে;
কেউ কেউ আবার উৎসুক উন্মুখ অধরোষ্ঠ বাড়ায়
চুম্বন প্রত্যাশায়।
এ কী দূর্ভোগ হায়!
প্রবল পিপাসায় যখন বুক ফেটে যায়,
একবিন্দু জলও তখন জোটানো দায়!
সময়ের চাহিদা না মিটলে সময়ে,
অসময়ের অথৈ উল্লাস পরিণত হয়-হাস্য পরিহাসে।
≈≈≈≈≈≈≈≈
#পরিচিতি_আমি
প্রকাশ চন্দ্র রায়,একজন হোমিওপ্যাথ। “হোমিও প্রাকটিস সেন্টার”নামক নিজস্ব চেম্বারে চিকিৎসা সেবা করে থাকি। পেশাগত ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে বা অবসরে সাহিত্যচর্চা করি। জন্ম-নীলফামারী জেলাধীন ” কিশোরগঞ্জ” উপজেলায়। পিতামাতা মৃত। এক ছেলে প্রেমপ্রদত্ত রায় আর এক মেয়ে প্রীতিপ্রভা রায়। আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ- “তামাটে হৃদয়ভূমি”।