নতুন প্রভাত

-শান্তি দাস

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

পূর্ব আকাশে লালচে আভায় সূর্যের হাতছানি দিতে,

মানুষদের নিদ্রা ভেঙ্গে দেয় পাখপাখালির কলকাকলিতে।

জানান দেয় ঊষাকাল এখন নতুন প্রভাতের আলো,

সোনালী সকাল দুর করে নিল আঁধার রাতের কালো।

কুয়াশার আবরন ভেদ করে উঁকি দেয় প্রভাত রবি হাসে,

রোদের মাঝে মুক্তা শিশির গেলো এবার মিশে।

জনমানবহীন জনপথে মানুষদের পদচারণা শুরু হয়,

নতুন দিনের নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে জনতা নেই ভয়।

নতুন স্বপ্নের বাস্তবায়নে স্বপ্নচারীদের শুরু হয় পথচলা,

নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে যাত্রা শুরু রঙ্গমঞ্চের খেলা।

এইভাবেই ধরা পড়ে একটা সোনালী সকাল,

একটা দিনে একটা সুন্দর নতুন প্রভাত কাল।

রাতের নীরবতা ভেদ করে কুয়াশার চাদরে ঢাকা কিষানদের আঙ্গিনায়,

পূর্ব দিগন্তে এখনো আসেনি আলো কৃষক চলছে নিজ ভঙ্গিমায়।

ধনীর দুলালীদের স্বপ্ন দেখার সময় প্রভাতে কৃষান বঁধু নেমেছে মাঠে,

পেটের দায়ে আহার যোগাতে নিজের কর্মজীবন শিশুদের মন পাঠে।

জমি থেকে কেটে আনা ধান ছিটিয়ে দিল ধান মাড়াই করিতে,

গরুগুলোকে সারি সারি করে বেঁধে দিল একটি রশিতে।

সারিবদ্ধ গরু নিয়ে ঘুরে ঘুরে শুরু করলো ধান মাড়াইয়ের কাজ,

তখনো অনেকেই ঘুমের জগতে, কৃষকদের এই সোনালী সকাল বেলার সাজ।

≈≈≈≈≈≈≈≈≈

কবি পরিচিতি-

ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু করি।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*