স্বাগত ২০২৫
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
বারোমাস, ছয় ঋতু, ৫২ সপ্তাহ,
নানা ঘটনার সাক্ষী, সুখ, দুঃখের,
স্মৃতির পাতায়, লেখা হয়ে থাকে,
চির স্মরণীয় হয়ে, আমাদের।
এসো “২০২৫”, স্বাগত, মহা ধুমধামে,
সব ভুল ভ্রান্তি, মন থেকে, হোক উধাও,
সকল শহর ও নগরবাসী জাগ্রত হও,
হোক শান্তি, হিংসা মুক্ত আগামী, কথা দাও।
প্রতিদিনের সুখ, দুঃখকে রাখি,
অন্তরের অতল তলে, সাবধানে,
যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই, মনেমনে,
আসুক “২০২৫”, আনন্দে, হাঁসি গানে।
তিলোত্তমা, পায়নি বিচার আজও,
হাজার কণ্ঠের ক্রন্দনে, চিৎকারে,
হয়ত, পাবে সুবিচার, তিলোত্তমা,
শান্তি আসবে, এই ধরার সংসারে।
বরণডালা সাজিয়ে রেখেছি হে “পঁচিশ”,
তোমায় করব আমরা, স্বাদরে বরণ,
ধর্ষণ, খুন, শিশুশ্রম বন্ধ হোক,
নিশ্চিহ্ন হোক, অস্বাভাবিক মরণ।
বহু নক্ষত্র পতন হয়েছে, চব্বিশে,
প্রতিদিন নিরন্তর, একে একে,
আঘাত, কষ্ট পেয়েছি অন্তরে
তাদেরই মৃত্যুর, করুণ শোকে।
নবরূপে আসুক, আনন্দে, হাঁসিতে,
ভোরে উঠুক “২০২৫” সাড়ম্বরে,
মানুষ, প্রকৃতি, মেতে উঠুক,
এক অপরূপ, আনন্দের সুরে।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর তিনেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।