অভিমানী সমুদ্র
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
পরিবর্তন ই সময়ের নিয়ম, আমরা সকলেই জানি,
বিবর্তনের ফল স্বরুপ, বজরংবলি,
আজ মানুষের, রূপ পেয়েছে,
আজকের মানুষকে, আমরা সত্যি মানুষ
বলতে, একটু দ্বিধাবোধ করে চলি,
নদী, পাহাড়, চিরন্তন, ওরাই আমাদের কথাকলি।
প্রকৃতি আজ লুপ্ত প্রায়, মানুষ বড়ই ব্যাস্ত, জীবনে নেই শান্তি,
চারিদিকে দেখি বিশৃঙ্খলতা, আর অশান্তি,
দিনে দিনে সমাজের একি পরিবর্তন,
সমস্ত বিষয়ে চলছে প্রতিযোগিতা, চলছে রেষারেষি,
আজ দীর্ঘ সাত বছর পর, দেখলাম দীঘা সমুদ্র সৈকতের
পরিবর্তন।
দীঘা, মানেই ঝাউগাছ, আর প্রশস্থ সমুদ্রের সৈকতের
আত্ম কথন।
আজ তার চোখে, অভিমানের, অশ্রুধারা বিন্দু বিন্দু করে
ঝরে পড়ছে,
সুন্দরী সমুদ্রের প্রাণোচ্ছল আবেগ, সুপ্ত অভিমান ভরা দৃষ্টি কাছে ডাকছে,
প্রেম হাত বাড়াচ্ছে, আমায় কাছে ডাকছে, নিবিড় করে কাছে টানছে,
আমি কি তাকে উপেক্ষা করতে পারি? নিবিড় ঘন আলিঙ্গনে, দুবাহু বন্ধনে, জড়িয়ে ধরে, প্রেম চুম্বন করে এলাম,
বিদায়, সুন্দরী সমুদ্রের উষ্ণ ঘ্রাণ, আমার সারা শরীর মেখে রয়েছে….……
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর তিনেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।