হারানো বিকেল
-শান্তি দাস
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
ছোটবেলা গুলো ফিরে তো কখনো পাবো না আর
সেতো স্মৃতি হয়ে ভাসবে চোখের কোণে বারবার।
ইচ্ছে জাগে সেই দিনগুলো যদি পেতাম আবার
জীবনে হারানো বিকেল গুলো স্মৃতিতে পাবার।
মধুর শৈশব মাঠে শুধু খেলা আর খেলা মেতে থাকা ,
হারিয়ে গেছে সোনালি বিকেল গুলো মাঠ এখন ফাঁকা ।
কি মজা কি মজা আনন্দ মনে স্মৃতিপটে আঁকা ছবিগুলো,
সেই দিনগুলো বড় আঘাত করে মনে বড্ড এলো মেলো।
পুরোনো সেই কথা গুলো আজও এলোমেলো ভাবায়,
সবুজে সবুজ ঘাসে মাঠ সে উঁকি দেয় মনের দরজায়।
সেই রঙিন স্মৃতি কখনো যায় না ভোলা কেবল ভাবায়,
বিকেলের খেলার মাঠের আড্ডা কখন যে স্মৃতিতে মন হারায়।
ফেলে আসা কত স্মৃতি জড়িয়ে দুরন্ত শৈশব জীবন,
আমি যে ছিলাম শৈশবে হারানো বিকেল হয়ে আপন ।
প্রকৃতির বুকে সাজিয়ে তুলতে রাঙা গোধূলির অজুহাতে,
হৃদয়ের ক্যানভাসটা হারানো বিকেলের অঙ্কিত ছবিতে প্রাণ দিতে ।
কবে যে সেই ছোটবেলা হারিয়ে গেল বড় হওয়ার ফাঁকে,
আজ কেউ এসে বলে না আয় ছুটে খেলবি বলে ডাকে ।
ফিরে পাবোনা সেই বিকেল গুলো হারানো শৈশবের খেলা,
স্কুলে ছুটির পর দৌড়ঝাঁপ করা কাটিয়ে দিতাম সারাটা বেলা ।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু করি।