শুকনো পাতা কাঁদে
-মীর সেকান্দার আলী খোকা
∞∞∞∞∞∞∞∞
তখন কিশোরী, দুলছো মাধবী লতা জুড়ে,মার্জিতা,
যৌবনে পদার্পণের হাওয়া ওরে-
ঠিক এই পথেই চলতে তুমি।
আমি কৈশোর অতিক্রম করেছি সবে
একটা অনুভূতি জাগত,
গোপন ভালোলাগা তোমাকে ছুঁতে চায়।
সময় ছিল সাঁঝের কিছু আগে
ঠিক সূর্যের কোমল আলো স্পর্শ করতো তোমায়,
এমনিতে লোভনীয় রাঙা তুমি
রাঙাসূর্যে আরো লোভনীয় হতে।
আমার প্রতীক্ষা ভেসে যেত তোমার ছায়া কুড়াবে বলে,
তুমি বুঝতে,
অবুঝের মত না বোঝা চোখে দেখতে আমায়।
কখনো হাসি দিতে রাঙা মৃদু ঠোঁটে,
অনুভূতি আজও জাগে
যে চোখে ভালো লাগে আমায় বুঝিয়েছিলে।
তৃষ্ণা দেখেছি চাঁদ ভাসা ঠোঁটে,
পূর্ণিমা চাঁদ জেগেছিল কপোলের শিমুল বনে।
আজও চেয়ে থাকি, বসে থাকি,
যদি কোন স্রোত তোমাকে নিয়ে আসে এ পথে।
বর্ষায় ভিজে ঝরে যাওয়া কৃষ্ণচূড়া দেখে বলেছিলে
যদি কখনো ঝরে যায় এমন ভাবে কোন আঘাতে,
ভুলে যেও না,
মনে রেখো এই বনে আমিও ছিলাম
ঝরে গেছি বর্ষায় অযাচিত আঘাতে।
শানবাধা ঘাটে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ফুল ফুটে আজও
ছেয়ে যায় কচুরিপানা সাদা ফুলে।
তোমাকে খুঁজি সাদা ফুলে, কৃষ্ণচূড়ার ডালে,
খুঁজি কাশবনে দিঘির জলে,
মনে রেখেছি তোমায় মাধবী লতার বনে।
হাসি ঝরে গেছে,শুকনো পাতা কাঁদে,
স্রোত হারিয়েছে চোখ পাথর চোখে।
∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি-
জন্ম: ১৫ জুন, ১৯৬৬ ইং, বিভাগীয় শহর রাজশাহী। ভাই-বোনের সংখ্যা ৮ জন, আমি সপ্তম। পিতা মৃত: মীর মোক্তার আলী, মাতা মৃত: লতিফা খাতুন। ছোট সময় থেকেই লেখনীতে অভ্যস্ত, যে পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত লেখা প্রকাশ পেয়েছে, দৈনিক সানশাইন, রাজশাহী। দৈনিক উত্তরা+সংজ্ঞা, দিনাজপুর। সাপ্তাহিক জনরব, ঠাকুরগাঁও। মাসিক ম্যাগাজিন একদিন প্রতিদিন+প্রিয়তমেসু, ঢাকা। বর্তমানে অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা কবিতার পাতা দিনাজপুর। অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা স্বরলিপি, ঢাকাতে নিয়মিত লিখছি। আমার একক কাব্যগ্রন্থ-আলো ছায়া ২৫ শে বইমেলা ঢাকাতে থাকছে ইনশাল্লাহ। সকলের জন্য অনেক শুভকামনা রইল, ধন্যবাদ।