বাংলার শীত ঋতু

-তনুশ্রী বসু (পাত্র)

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

বাংলায় ছয় ঋতু, বারো মাস,

গ্রীষ্ম,বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত,

পৌষের শেষে, মকর সংক্রান্তি হয়,

গ্রামে গ্রামে, টুসু পূজো, চির অনন্ত।

শীতের আমেজ, ভালই আছে বাংলায়,

হেমন্তের পরে শীতের ঠান্ডা হাওয়া

মন ছুঁয়ে যায়, খেঁজুর রসের হাঁড়ি,

ভোরবেলায় আনন্দে, খেঁজুর রস খাওয়া।

শীতের সব্জি, শীতের ফল, খুব আনন্দ দেয়,

চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, গাঁদার পুস্প মেলায়,

শীতের মূল আকর্ষণ, জয়নগরের মোয়া,

নলেন গুড়ের পায়েস, নানা পিঠে খাওয়ায়।

দরিদ্র মানুষের, খড় বা টালির চাল,

বড় কষ্ট তাদের, এই শীতের সময় হয়,

বিধাতার নিয়মের কাছে, আমরা তুচ্ছ,

ঈশ্বর রক্ষা করেন তাদের, তিনি দয়াময়।

পিকনিক, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা,

ভ্রমণের সুখ, আছে এই শীত ঋতুতে,

বাহারী পোশাক পরে, যাওয়া বেড়াতে,

কমলালেবু, কেক খাওয়া, ২৫শে ডিসেম্বরে তে।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতি:-

আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর তিনেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*