চাচা কাহিনী
-আবুল হাসমত আলী
∼∼∼∼∼∼∼∼
অনেক বছর আগের কথা স্মৃতি হয়ে আছে,
পল্লীর মানুষ ছিল সরল পরস্পরের কাছে।
হৈ হুল্লোরে জীবন কাটতো সরস তাদের ভাষা,
হালকা মাথায় ছিল কত রঙ্গ ব্যঙ্গ ঠাসা।
দেখা সাক্ষাৎ যেই না হতো হাসতো তারা খিলখিল,
চারিদিকে প্রাণের বাতাস বই তো তখন হিল হিল।
সেই রকম এক সময়ে এক যে ছিল চাচা,
এ চাচা ঠিক নয় সে চাচা এ সরকারি চাচা।
ছোট থেকে বুড়ো ধেরে চাচা বলতো তারা,
তাতে চাচা রেগে যেত বুঝতো না মশকরা।
আবার চাচা বেশ দিল কলা মাঝেমধ্যে রাজা,
কখন যে সে তেড়ে মেরে দেবে কাকে সাজা।
সব কাজে তার আগে যাওয়া বিচিত্র এক স্বভাব,
সব কথাতে কথা বলা জ্ঞানীর মত ভাব ভাব।
মাঝে মধ্যে ব্যস্ত অতি দুরন্ত তার গতি,
যখন তখন বুট পড়ে করতো হাঁটাহাঁটি।
হাঁক ডাকে তার কন্ঠ ছিল সবার পরিচিত,
টাকা পয়সা খরচ করতে ছিল ধরাজ হস্ত।
মুশাহেবি ছিল দারুণ যে কোন তার কাজে,
যোগ্যতা তার যথেষ্ট নয় জানা সবার কাছে।
কিন্তু চাচা প্রিয় সবার রং তামাশা করতে,
তার সান্নিধ্য পেতে সবাই উঠতো ভীষণ মেতে।
∼∼∼∼∼∼∼∼
,কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি।