শেখপুড়ার বস্তি

-সারমিন সীমা

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

রাত পোহালেই দিতে হয় কিস্তি,

দিন -রাত মানে না বস্তি

লেগেই থাকে কথার কুস্তি!

প্রায় কুঁড়ে ঘরের সঙ্গে

একটি করে মুদির দোকান।

কারো চিতাই পিঠার,

কারো ভাপা পিঠার।

দশ টাকা পিঠার সাথে

ধনিয়া পাতার আর কাঁচা মরিচ মাখন।

সারাদিনের কর্মক্লান্ত পুরুষ;

পিঠার জ্বলন্ত উনুন ঘেষে বসেন,

ফুলের গন্ধ যেমন

পিঠার সাথে

ধনিয়াপাতার মাখনের স্বাদ তেমন!

এতো তৃপ্তিসহ খান

দেখে মনে হয় পেল যেন প্রাণ।

তারপর শুধু করে চিন্তা

আগামীকাল দিতে হবে কিস্তি।

আসবেন স‍্যারেরা দিতে হবে বস্তির

স্বামী – রিক্সা চালক,কেউ ট্রাক ড‍্রাইভার

বউ বসে তৈরী করে

ক্ষুধা নিবারনের পিঠার ভান্ডার

তবুও খেয়ে -পরে চলেনা সংসার

এইসত‍্য বুঝতে চায় না অফিসের স‍্যার।

তাই হানাহানি লেগেই থাকে বস্তির

কিস্তি দিতে হবে-

ছেঁড়া শাড়ি পরিহিতা শেফালি’র।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়া।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*