
ফিরে এলাম জন্মদিনে
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
∞∞∞∞∞∞∞∞
জন্মদিন, হোক শুভ অক্ষয় অমর
বর্ণের পরিচয় ঈশ্বর চন্দ্রের কাছে,
তিনিই জন্মদাতা পিতা পরম পুরুষ
মনে রাখি, সদাই একথা ভুলি পাছে।
তবে ডিজিটালের যুগে বইয়ের বিকল্প
মুঠো ফোন হাতে চলেছে তেপান্তরের মাঠে,
অভ্যাসটা পাল্টেছে, প্রবল গতিতে
বই আমাদের বন্ধু, পড়ার সময় পাইনে মোটে।
ছুটছি সবাই মোরা, মরীচিকার পিছে, পিছে
আলেয়া কখনও ভয়ের হয়, ভয় পাও মিছে,
যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে হয়, ইচ্ছার বিরুদ্ধে
যত উঠছি, তার চেয়ে বেশী নামছি, জলের নীচে।
কিন্তু নিরুপায়, উপেক্ষা করা যায় না সময়কে
“মানুষ, অভ্যাসের দাস” ছুটছি দিনরাত সবাই,
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়কে, প্রণাম শতবার
দৃষ্টি দান, বর্ণের মাধ্যমে, প্রনমি বিদ্যাসাগর মশাই।
∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর তিনেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।