
ভোট রাজনীতির যাঁতায়
-আবুল হাসমত আলী
∞∞∞∞∞∞∞
‘ড্রাগের নেশা সর্বনাশা’ _ একথা বলে লোকে,
তাই তো সবাই ড্রাগ বিরোধী কত বক্তব্য রাখে।
কিন্তু সমাজ তো তা চায় না? ড্রাগে আসক্ত বাবুরা ,
বঙ্কিম চন্দ্রের বাবু সমাজ ড্রাগে যেত মারা।
বাবুসমাজ এখন ভিন্ন খেলোয়ার তারা বড্ড,
ধর্ম ড্রাগের মধ্য দিয়ে বোকা বানায় হদ্দ।
ধর্মের আবেগ উসকে দিয়ে মাথাতে হাত বুলায়,
কচি কচি মাথাগুলো চিবিয়ে তারা খায়।
ভোটের বাজার ধরতে গেলে এটা একটা অস্ত্র,
ভেবে কি লাভ? দরকার তাদের আছে অন্ন বস্ত্র?
তাছাড়া ভাই বেকার যারা এমনি মাথা গরম,
তাদের কানে মন্ত্র ঢাললে রাজনীতি হয় চরম।
চাকরি করতে কে না চায় ভাই? চায় যে তারা বাঁচতে,
টাকায় মিলবে সে সব চাকরি, হবে টাকা ঢালতে।
তবে তার নেই নিশ্চয়তা যখন আসবে নির্দেশ,
তল্পিতল্পা সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে বিদেশ।
কিংবা তারা নিন্দে মন্দ নিয়ে চলবে মাথায়,
তারাও থাকবে পড়ে দেশের ভোট রাজনীতির যাঁতায়।
ভোটে জিতে নির্বাচিত হলেই হবে চাকরি,
এই আশ্বাসে বোকা বানায় সেই ভোটের কারবারি।
ফুটবল যেমন লাথি খেয়ে ঘুরে ঘুরে মরে ,
তেমনি ভাবে বেকার যারা তাদের পায়ে ঘোরে।
∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি।