
কাশফুলের সৌন্দর্য
-এইচ.এম.জুনাইদুল ইসলাম
∞∞∞∞∞∞∞∞
শরতেরই দিনে কাশফুল, নদীর ধারে ঢেউ তোলে,
সাদা শুভ্রতার পরশে, মন আনন্দেতে দোলে।
আকাশের সাথে পাল্লা দিয়ে, তার দল মেলে ধরে,
বাতাসে দোল খায় যেন, মেঘের ছায়া খেলা করে।
সকালের মিষ্টি রোদে, তাদের সৌন্দর্য ঝলমল,
যেন এক রূপকথার রাজ্য, ভরা রূপ আর জল।
পাখির ডানার মতো, তারা বাতাসে উড়ে যায়,
নদীর জলে তাদের ছায়া, মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়।
শরৎ এলে মনটা তাই, তাদের কাছে ছুটে যায়,
চোখ ভরে দেখি তাদের, মনে নতুন স্বপ্ন পায়।
সবুজের মাঝে তারা, যেন এক স্বপ্নের দেশ,
তাদের সৌন্দর্যই বলে, শরৎ কত অশেষ।
তাদের দিকে তাকিয়ে, মনটা কেমন ভরে যায়,
ভালোবাসার এই অনুভব, মনটা শুধু তোমাকেই চায়।
তাদের সাথে মিশে যাই, শরৎকালের আমেজে,
কাশফুলের এই সৌন্দর্যে, মন তাইতো নতুন সাজে।
শরৎ যখন ফিরে আসে, তার রূপ যেন আরও হাসে,
মনে হয় সে তোমারই রূপ, এ হৃদয়ে শুধু ভাসে।
তোমার চোখে দেখি আমি, সেই অপরূপ ছবি,
কাশফুলের শুভ্রতায়, তুমিই আমার প্রিয় সবি।
∞∞∞∞∞∞∞∞
সংক্ষিপ্ত কবি পরিচিত
কবি এইচ.এম. জুনাইদুল ইসলাম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মাতামুহুরি নদীর তীরবর্তী গ্রাম দক্ষিণ মেহেরনামা বাজার পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা আক্তার হোছাইন এবং মাতা ছিলেন মরহুমা মমতাজ বেগম।
শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক স্তর তিনি নিজ গ্রামেই সম্পন্ন করেন। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনার জন্য চট্টগ্রাম শহরে আসেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে সফলভাবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন, যা তার সাহিত্যিক ভিত্তি সুদৃঢ় করে।
বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যের প্রতি ছিল তার গভীর অনুরাগ ও আকর্ষণ। উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে থাকাকালীনই তার লেখনী বিভিন্ন সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত হতে শুরু করে। কবিতা, প্রবন্ধ ও ছোট গল্পের মাধ্যমে তিনি পাঠকদের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। চট্টগ্রাম কলেজে বাংলা বিভাগে অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি মূলত কবিতা লেখায় নিবিড়ভাবে মনোনিবেশ করেন এবং কবিতার জগতেই নিজের সৃষ্টিশীলতাকে আরও বিকশিত করেন।
যৌথ কাব্যগ্রন্থ সমুহ : স্বপ্ন তরী, ফুলের হাসি, নির্জনতার নীল চিঠি, মৃত্যু জানালার ওপাশে, পুষ্পকলি, কাশফুলের ছোঁয়া, জীবন থেকে নেওয়া ও কাব্যের প্রতিচ্ছবি। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন।