
কে তুমি প্রিয়তম
-শাহনাজ পারুল
♥♥♥♥♥♥♥♥♥
কে তুমি প্রিয়তম ?
তুমি আমার বিচ্ছেদে
ফাটাও চোখ।
আমার বিষণ্ণ দৃষ্টিকে মুগ্ধ
করার মত কোন
মহা সীমান্ত নেই ।
কে তুমি প্রিয়তম ?
তুমি আমার বিচ্ছেদে
ফাটাও চোখ।
তুমি কি জানো না?
আমার বুকের গভীরে আছে
শুধু পাড় ভাঙ্গার শব্দ
মনের প্রশান্ত মহাসাগর টি
আজ শুষ্ক মরুভূমি
বুকের ভিতর রাবণের চিতার
আগুন জ্বলছে
সরষে ফুলের মতো বিষণ্ন
হলুদ হয়ে আছে চোখ
নির্জন মন একা একা শুধু
দীর্ঘশ্বাস বয়ে বেড়ায়
বাঁধ ভাঙ্গার বর্ষার সমস্ত জল
আমার চোখে
বৃথা কেন ফাটাও তোমার চোখ?
আমার দুঃখের অথৈ জলে
আমাকে একা একাই
সাঁতার কাটতে দাও ।
আমি এই পাষাণ পুরীতে
নিজে নিজেরেই বেদনা ক্লিষ্ট
আত্মা টাকে নির্বাসন দিয়েছি !
কে তুমি প্রিয়তম ?
তুমি আমার বিচ্ছেদে ফাটাও চোখ
ফিরে যাও’ ফিরে যাও ।
♥♥♥♥♥♥♥♥♥
কবি পরিচিতি-
শাহনাজ পারুল: একজন সংগ্রামী কবি ও সমাজসেবী ভোলা জেলার মাটি ও মানুষের ভালোবাসায় জন্ম নেওয়া শাহনাজ পারুল শুধু একজন কবি নন, তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া, নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের মুখপাত্র। তার পেশাজীবন শুরু হয়েছিল সমাজসেবার মাধ্যমে, এবং আজও তিনি নারী সেবা নামক একটি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি সমাজের অবহেলিত, ঝরে পড়া শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। শাহনাজ পারুলের লেখালেখির সূচনা হয়েছিল আবহমান গ্রামবাংলার নারীদের জীবন, তাদের বিচ্ছেদ, ভালোবাসা, আবেগ ও অনুভূতিকে কেন্দ্র করে। তার কলমে ফুটে ওঠে নারীদের সংগ্রাম, বঞ্চনা ও স্বপ্ন। তার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ “যন্ত্রণার সমাধি” বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা, এছাড়াও, তিনি নির্বাচিত কবি হিসেবে লেখক পুরস্কার পেয়েছেন, যা তার সাহিত্যিক সাফল্যের আরও একটি মাইলফলক।