
সভ্যতার ইতিহাস
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
নগ্নতা যদি এতই পছন্দ, মানবজাতি তোমাদের,
তবে সভ্যতা, কেনই বা এল, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে,
যে সমাজ, উলঙ্গ করে, যেথায় সভ্য নারী, হয় বিবস্ত্র,
বলতে পার, এর জন্য, সত্যি দায়ী কে বা কারা?
আজ সমাজ নামে, নেই কিছু, এই ধরাধামে,
সমাজ মানে, মুখোশধারী, সব মিথ্যা, অত্যাচারী,
সমাজ মানে, ক্ষয়িষ্ণু, ভেঙে যাওয়া যত পথচারী
সমাজ মানে, লুকিয়ে থাকা, মেরুদণ্ডহীন পৌরুষ।
আজ সমাজে অবিবেচক, হিংসা, ক্রূরতা ভরেছে
সমাজে, অত্যন্ত অন্ধকার, সব অলিতে গলিতে,
বিচার নেই, সবাই দোষী, রয়েছে তারা, চোরা গলিতে,
চোখ থাকতেও অন্ধ মোরা, রয়েছি ছদ্মবেশে, পথে।
নিদারুন শোকে মুহ্যমান, দেখাই নাটক, দেশকে,
স্বভাব, চরিত্র, গঠন হয়নি, এ সমাজে, উলঙ্গ রাজা
কিংকর্তব্যবিমূঢ় সদাই, চলে ভুল পথে, নেই পরিবর্তন!
দেখতে পাইনা, নির্লজ্জ মিথ্যাচারী, পায়না সাজা।
বিভীষিকাময়, এই নরপিশাচের জীবন, ধিক ধিক,
হে মানবজাতি, এই কি তোমার, আসল পরিচয়,
তাকিয়ে দেখ, আকাশ ভরা, ওই গ্রহ তারা আর চাঁদ,
পৃথিবী কত সুন্দর, চাঁদের হাসিতে, হয় শুভ পরিণয়।
বৃন্ত থেকে ছেঁড়া ফুল, তারা কত অসহায় অবহেলিত,
সুস্থ জীবন আজ, ধরণীর পরে মূর্ছিত, হেরে পদদলিত,
ফুলের হাসি বিলুপ্ত, নিশ্চিহ্ন, ঝরাপাতার মত অপমানিত,
আবার ফুটবে কি ফুল, হাসবে ধরণী, হবে কি সূর্য্য উদিত।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর তিনেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।