
চির চেনা আপন ভুবন
-রতন চক্রবর্তী
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
আমার আকাশ থমকে থাকুক
চোখের পলক ঘিরে,
খুঁজব না প্রেম এই পৃথিবীর
লক্ষ লোকের ভিড়ে।
চোখের সীমায় জীবন আমার
চাই না বিরাট বিশ্ব,
স্বর্গ আমার জন্ম ভূমির
সবুজ শ্যামল দৃশ্য।
আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে যাক
দুই নয়নের দৃষ্টি,
বাদল মেঘের ভালোবাসায়
পড়ুক ঝরে বৃষ্টি।
ভেজা মাটির গন্ধ থাকুক
সারা গায়ে মিশে,
বাতাস হয়ে নাচবে হৃদয়
সবুজ ধানের শীষে।
রাতের আঁধার ভরে থাকুক
তারার আলপনায়,
নীহারিকার ছায়া পথে
প্রেমের কল্পনায়,
এখানেই স্বর্গ আমার
আম কাঁঠালের ছায়ায়
মায়ের আঁচল শান্তি সুধা
আদর স্নেহ মায়ায়
চির ঘুমে চলে যাবো
আসবে যখন ক্লান্তি,
সবুজ ঘাসের বিছানায়
পাবো চির শান্তি।
নেই প্রয়োজন মোক্ষ আমার
আসবো আবার ফিরে,
চির চেনা এই ভুবনে
আপন জনের ভিড়ে।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি -:
কবি রতন চক্রবর্তী একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ১৯৬৩ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমার মনুবাজারে তাঁর জন্ম। তিনি একাধারে কবি, গল্পকার,নাট্যকার , অভিনেতা, বাচিক শিল্পী এবং সংস্কৃতি প্রিয় ব্যক্তিত্ব । ২০১৮ সালে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য তিনি রাজ্যপাল পুরস্কারে ভূষিত হন। কাব্য সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য ত্রিপুরা সরকারের সমাজ শিক্ষা কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শ্রেষ্ঠ প্রবীণ সৃজনকলা ব্যক্তিত্ব হিসেবে পুরস্কৃত হন। ২০২৫ সালে আগরতলা আন্তর্জাতিক বইমেলায় তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ “চোখের সীমানায় জীবন” প্রকাশিত হয়। তিনি বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের দক্ষিণ জেলা সাংস্কৃতিক কমিটির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৫ সালের ২৯ জুলাই ত্রিপুরা সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর কর্তৃক শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।