
যুযুধান
-বিজয়া মিশ্র
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
যুদ্ধ এখন প্রতিদিনের শিরোনাম
পরিবার থেকে দেশ বিদেশের ভুঁয়ে,
কত কূটকৌশল কত জিঘাংসা,স্বার্থ
কেউ আখের গোছায় অন্যের দুঃসময়ে।
যুদ্ধ এখন ঘরে বাইরে সর্বত্র
দু দেশের যুদ্ধে মাথাব্যথা ,জল্পনা ,
যুদ্ধ মানেই লিখিত অলিখিত ধ্বংস
যুদ্ধের ক্ষত হাহাকার আর যন্ত্রণা।
যে মেয়েটি গতর ফাটিয়ে খাটে
দিনের শেষে পরিচয়ে ক্ষত প্রতিদিন,
তেমন জীবন যুদ্ধের চেয়ে কম কী
সংসারের যুদ্ধে কত জীবন যে সঙ্গীন!
নীরব যুদ্ধের বোমা ফাটে যখন
সহসা কতকিছু ওলটপালট ছারখার,
দীর্ঘ নীরব লড়াইয়ের ইতিবৃত্ত
প্রকাশ পেলেই আর নেই নিস্তার।
যুদ্ধ এই ছোট্ট শব্দে উৎকণ্ঠা
খরব বেচতে উঠে পড়ে লাগে অনেকে,
যুদ্ধের ভয়াবহতার রেশ সীমাহীন
কত প্রজন্ম পড়ে নিতান্ত বিপাকে।
স্বার্থলোভীরা মনে রাখে না পরিনাম
ধর্মের হলাহল দেয় ঘৃতাহুতি,
বিষাদ মুখচ্ছবিই আত্মদর্শন
যুযুধানদের হোক এই অনুভূতি।
⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি
বিজয়া মিশ্র পাহাড়ীর জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। নিত্য দারিদ্র, আশেপাশের কিছু মানুষের প্রাত্যহিক বিরূপ মনোভাব,কোনঠাসা করার প্রয়াস মিথ্যে করে বড় হয়ে ওঠা।একমুঠো ভাত জোগাড়ে আশৈশব লড়াই চিন্তা চেতনাকে পুষ্ট করেছে। বর্তমানে কলকাতাবাসী ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই,শিক্ষিকাগণের উৎসাহে।চরম দারিদ্রের মধ্যেও সব বাধা টপকে যাওয়ার অদম্য স্পৃহা আশৈশব পায়ের তলায় মাটি খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে। বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান -সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই কবির কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।