
মজার আড্ডাখানা
-আবুল হাসমত আলী
∞∞∞∞∞∞∞∞
থাকি আমি আনন্দ ভবনে ,
সবাই থাকে সেথা বেশ বিনোদনে।
হৈ হুল্লোড় হাসির জোয়ার বয় ,
হাসতে হাসতে অনেকে বিষম খায় ।
হাসির চোটে দেবযানীর ঘাম ছোটে,
অদ্ভুত হাসি লেগে থাকে প্রীতির ঠোঁটে।
সৌমিকের সদাই দেখি প্রেম সুলভ চাহনি,
তার চোখে মুখে কন্ঠে থাকে খুব ন্যাকামি।
অঞ্জলীর নাকি সুর গেছে হারিয়ে,
কী যেন চিন্তা তাকে নিয়ে বেড়াচ্ছে তাড়িয়ে ।
সুস্মিতার অহংকার ভরা মুখ,
মনে হয় তার যেন নেই কোন সুখ ।
তবু সে যখন তখন হেসে ওঠে,
অনেকে তখন তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টায় মাতে।
শোনা যায় অঞ্জলির নাকি সুরে কান্না,
সে নাকি কোন কিছু ভাল করে খায় না।
সবেতেই দেয় তার ঝুড়ি ভর্তি মতামত,
যদিও সৌমিক তার জবাব দেয় ফটাফট।
তাই শব্দ দূষণের মাত্রা যায় বেড়ে ,
এদিকে রিমি ভাবে সে যাচ্ছে তার কাছে হেরে ।
আরও আছে একজন, মিচকে হাসিমুখ চিকুডি,
রসিকতার লড়াইয়ে সে লড়ে হাড্ডাহাড্ডি।
তাদের কথা শুনে রাখি বকে হাজার,
তার বকানীর চোটে অনেকে হয় বেজার।
সৌমিক ফুঁসে ওঠে, রিমি ছাড়ে হুংকার ,
এসবের সমাধানে তারা দারস্থ হয় আমার ।
সৌরিক নামে ছেলেটি চুপটি করে রয়,
কেবল এর ওর দিকে সে বড় বড় চোখে তাকায়।
এমনি করে দিন যায় দিন আসে ,
এমন মজার আড্ডাখানা কে না ভালবাসে।
∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:
আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাস করি। আমার গ্রামের নাম ‘এরুয়ার’ যেটা ভাতার থানার অন্তর্গত। আমি ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করি। আমি প্রকৃতি ভালোবাসি, ভালোবাসি পৃথিবীর মানুষকে ও জীবজগতকে। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। তাই মানুষের মর্যাদা হানি আমাকে সর্বদা পীড়া দেয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ জীবনের আমি কামনা করি।