
কালপুরুষ
-রাজীব কুমার দাস
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
গগনের অন্তহীন সীমানায় সময়ের নিঃশব্দ স্রষ্টা
অসীম পথ পেরোয়- সূর্যোদয় থেকে নক্ষত্রের বিলয়,
আদি থেকে অন্ত- সে এক সীমাহীন গণিত
এক নিঃশ্বাসে জন্মধারা, এক নিঃশ্বাসে প্রলয়।
সময় গুণে না ঘড়ির কাঁটা
গুণে শ্বাসের গতি চোখের নীরবতা,
মোহ-মায়া আর হিসেবের অস্পৃস্য বাঁধন
জন্ম মৃত্যুর মধ্যবর্তী— এক অলক্ষ্য সেতুর দীর্ঘতা।
সে ছুটে চলে অবিরাম, জানে না ফেরার ভাষা
সময়ের আদলে গড়ে তোলে নতুন দৃশ্যপট,
অলীক স্বপ্নে বুনে যায় আগামীর বীজ
মুছে ফেলে অজানায় অতীতের ধুলোমাখা জট।
তার বুকে নেই রাগ, নেই ক্ষমার পরিমাপ
নেই ভালোবাসা, ঘৃণার নেই আধার,
অনন্ত ধারা সে বয়ে চলে নিঃশব্দে
যেন অদৃশ্য নদী—যার নেই তীর, নেই পার।
সে অসীম সর্বব্যাপী অদৃশ্য নামহীন
সে অন্তীম দেখা, নিয়তির লেথা কোনো অজানা ভয়,
সে মহাবিশ্বের ধমনীতে প্রবাহিত এক শ্বাস,
তার স্পন্দন আদি-অন্তের এক অজানা ক্ষয়।
জীবন—এক প্রভাতের আলোর মতো নেয় জন্ম
মৃত্যু— রাত্রির মতো নীরবে ঢেকে দেয় সব মায়ায়,
সময় যেখানে নিরপেক্ষ সাক্ষী হয়ে থাকে দাঁড়িয়ে
অনন্ত— সব টেনে নেয় বুকে কালপুরুষের চিরন্তন ছায়ায়।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি
জন্ম ৩১ ডিসেম্বর এক মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারে। বাবা সরকারী চাকুরে এবং মা ছিলেন গৃহিনী।শৈশবে মায়ের হাতেই হতেখড়ি তারপর মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের পথ পেড়িয়ে রসায়নে সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করতেই একটি স্কুল এন্ড কলেজে পার্টটাইম (রসায়ন)শিক্ষকতা করেন এবং পরবর্তীতে এমবিএ (ফিন্যান্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার পাশাপাশি বই পড়া ছিল অন্যান্য শখগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০১০ এ একজন সরকারী চাকুরে হিসেবে নিজেকে স্থীর করেন এবং কবিতা ও অনুগল্প নিয়ে লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। বইমেলা-২০২৩ ও ২০২৪ এ প্রকাশিত হয়েছে দুটি সমকালীন উপন্যাস নিশিকুমারী ও নিকুঞ্জ নিকেতন। এছাড়া লেখনি কলকাতা-2025 ও লেখনি স্মরনিকা নামক দুটি যৌথ কাব্যগ্রন্থে কবিতা সমূহ প্রকাশিত হয়েছে। মিশুক স্বভাব ও ভ্রমন পিপাসু মনের জন্য তিনি শুভাকাঙ্খি ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে বেশ প্রশংসিত।