
বৈদুর্য্যমণির মত
-মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
একটা বৈদুর্য্যমণির দ্যুতির মত আলোকবর্ষ সময়–
আটক হয়েছে বান্ধত্যময় সময়ের যুপকাষ্ঠে,,
তার মধ্য দিয়ে ছুটে চলেছে লক্ষ লক্ষ শ্বাসপদকুল,,
সেখান থেকে কানে ভেসে আসছে বিবস্ত্র অসহায় শত শত পাঞ্চালীর আত্মক্রন্দন,,
তবুও এ সভ্যতার বুকে আজও চিত্রাঙ্গদারা বাঁচে—
জীবনযুদ্ধে জয়লাভ করে ক্লিওপেট্রার মত ইতিহাসের পাতায় লেখে রূপ,
প্রখর ব্যক্তিত্বের সাথে উজ্জ্বল বুদ্ধিমত্তার জোরে নিজের সর্বোচ্চ সম্ভ্রম নিয়ে
সমাজের বুকে প্রতিটি পর্যায়ে কিভাবে লড়াই করে বেঁচে থাকা যায়।।
ওরা অঙ্গ-বঙ্গ,কলিঙ্গের মাঠঘাট,নদীনালা,
পর্বত সর্বত্র পুরুষের সহযোদ্ধা হয়ে লড়াই করে সভ্যতার উৎকর্ষের তরে।।
হায় রে–!! অহল্যা,বেহুলা,সীতা,সতী—
যত মহিয়সী থেকে সামান্য নারী তোমাদের বন্ধারোদনে ধরিত্রীর বুক ফাটে–
অথচ-অথচ–এ নগ্ন সমাজে তোমার বুকের অমৃত বারি সিঞ্চনে
যাদের মনুষ্য জনম স্বার্থক তাদের হাতেই হওয় তুমি নিগ্রহীতা।।
তোমার রক্তে হোলি খেলে উৎকট উল্লাসে মাতে যত নিকৃষ্ট আসুরিক শক্তি—
সেই আসুরিক শক্তির হাত থেকে রক্ষার তরে পতিতালয়ের পবিত্র মৃত্তিকায় মৃন্ময়ী মা হয়ে ওঠে চিন্ময়ীরূপী—
দুর্গা,কালী হয়ে দমন করে সকল আসুরিক শক্তি।।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি–
আমি মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)। উওর ২৪ পরগনার নববারাকপুরবাসী।আমি কবিতা,গল্প, প্রবন্ধ ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লিখি এবং ইতি মধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,সংকলন ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট ম্যাগাজিনে আমার স্বরচিত লেখা প্রকাশিত হয়ে চলেছে বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত।