
উদ্বাস্তু
-রতন চক্রবর্তী
∞∞∞∞∞∞∞
সেই কবে দেশভাগের প্রবল ঘূর্ণিতে
শেকড় সহ উপড়ে দিয়েছিল গাছটিকে ওরা।
তারপর আপন অস্তিত্বকে সে পুঁতেছে স্থানান্তরে
নতুন করে বাঁচার আশায়।
সেই থেকে এ মাটি নিয়েছে তাকে আপন করে
জল -হাওয়া-আলো দিয়ে আঁকড়ে ধরেছে বুকে।
দিনে দিনে সেই গাছ শেকড় পাঠিয়েছে গভীরে,
ছড়িয়েছে ডালপালা,আপন সৃষ্টির ফসল
প্রাণ থেকে প্রাণান্তরে আত্মজন হয়ে।
তারপর- কোন এক মধ্যাহ্ন বেলায়
সে জানতে পারে,অবৈধ সে,
এই মাটিতে নেই তার কোন অধিকার,
উদ্বাস্তু সে চিরকাল,
যেতে হবে পুনঃ স্থানান্তরে।
∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি -:
কবি রতন চক্রবর্তী একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ১৯৬৩ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমার মনুবাজারে এক হতদরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম। তিনি বাংলা ও ইতিহাস বিষয়ে এম এ পাশ করেন। তিনি একাধারে কবি, গল্পকার,নাট্যকার , অভিনেতা, বাচিক শিল্পী এবং সংস্কৃতি প্রিয় ব্যক্তিত্ব। ২০১৮ সালে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য তিনি রাজ্যপাল পুরস্কারে ভূষিত হন। কাব্য সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য ত্রিপুরা সরকারের সমাজ শিক্ষা কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শ্রেষ্ঠ প্রবীণ সৃজন কলা ব্যক্তিত্ব হিসেবে পুরস্কৃত হন।তার লেখা কবিতা গুলি রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন সাহিত্য পত্রে নিয়মিত প্রকাশ ও সমাদৃত হয়ে আসছে। ২০২৫ সালে আগরতলা আন্তর্জাতিক বইমেলায় তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ “চোখের সীমানায় জীবন” প্রকাশিত হয়। তিনি বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের দক্ষিণ জেলা সাংস্কৃতিক কমিটির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।