
শারদ আগমনী
-রাজীব কুমার দাস
∞∞∞∞∞∞∞∞
কাশফুলের শুভ্র শাখে মেতেছিল মন
শিউলি তলায় সাদা-কমলার চাদরে সেজেছে কানন,
আধো কুশায়া অন্তিম রজনী শুনেছি শাঁখের ধ্বনি
ওহে বাজাও ঢাক দেবীপক্ষের সূচনায়— মায়ের আগমনী।
পূজো পূজো গন্ধ মাতিয়ে মন ছুটেছে মাঠে
তখনো জাগেনি ভোর জেগেছে বোধনের সুর—পবিত্র চন্ডিপাঠে।
মাগো তুমি এসো কাশফুলের শুভ্র আভায় দশভুজা সাজ দিয়ে
পালকী, ঘোড়া, গজ নকি নৌকো
কোন সারথীতে মাগো তোমার আমগন পুরো পরিবার নিয়ে।
দেবী পক্ষের নবরাত্রি ক্ষন বোধন মাতবে অসুর নিধনে
অশুভ, পাপাচার, অহম, বিনাশ ধুলোয় মিটাবে তোমারি চরনে,
ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্ঠমী, নবমী পুষ্পাঞ্জলি পুণ্যতা নিয়ে
মাতাবো নিজ আমেজ মাখিয়ে পূজোর মন্ডপে গিয়ে।
দশমীতে মা তৈল সিঁদুরে মাতবে সকল রমনি
তোমারি আগমনে পাত-পবিত্র, অশুভ মুক্ত ধরনি,
বিসর্জনে দেবো যে বিদায় পারবো না ধরে রাখতে
আসছে বছর আবার এসো মা— তোমার সন্তানেরে দেখতে।।
∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি
জন্ম ৩১ ডিসেম্বর এক মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারে। বাবা সরকারী চাকুরে এবং মা ছিলেন গৃহিনী।শৈশবে মায়ের হাতেই হতেখড়ি তারপর মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের পথ পেড়িয়ে রসায়নে সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করতেই একটি স্কুল এন্ড কলেজে পার্টটাইম (রসায়ন)শিক্ষকতা করেন এবং পরবর্তীতে এমবিএ (ফিন্যান্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার পাশাপাশি বই পড়া ছিল অন্যান্য শখগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০১০ এ একজন সরকারী চাকুরে হিসেবে নিজেকে স্থীর করেন এবং কবিতা ও অনুগল্প নিয়ে লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। সম্প্রতি বইমেলা-২০২৩ ও ২০২৪ এ প্রকাশিত হয়েছে দুটি সমকালীন উপন্যাস নিশিকুমারী ও নিকুঞ্জ নিকেতন। এছাড়া লেখনি কলকাতা-2024 ও লেখনি স্মরণিকা নামক যৌথকাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। মিশুক স্বভাব ও ভ্রমন পিপাসু মনের জন্য তিনি শুভাকাঙ্খি ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে বেশ প্রশংসিত।