
প্রকৃতি সংরক্ষণ
-শান্তি দাস
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
প্রকৃতি সংরক্ষণে সবুজে সবুজ করে তোল অরণ্য,
সবুজে সবুজে ভরা ঢাকা সবুজ পাতায় পাতায়।
সাজিয়ে তোল অরণ্য গুলো সবুজ স্বপ্নের চাদরে,
লাবণ্য ভরা সেই সুন্দর নীল আকাশের মাঝে।
কোথায় খুঁজে পাই এমন অরণ্য প্রকৃতি সংরক্ষণে,
চারিদিকে বন ধ্বংস করে মানুষ লুটছে সব । k
প্রকৃতি আজ সবার সাথে করছে নিষ্ঠুর পরিহাস,
মানুষ আবাদে করে চলছে পরিবেশ দূষণ।
প্রকৃতিকে উদ্ভিদেরা দেয় কত কত উপহার,
এই ভুবনে সবাই চাই যে সবুজের বাতাবরণ।
জীবনদায়ী এই অক্সিজেনের হত্যা করছে সর্বজনে,
আপন মনে করে যাচ্ছে নিজ স্বার্থে বৃক্ষছেদন।
এই ভুবনে একটি গাছ একটি প্রাণ জানি আমরা,
একটি গাছ ছেদন করলে দশটি গাছ লাগানো চাই।
অরণ্য হবে না ধ্বংস প্রকৃতি সংরক্ষণে সবুজের সমাহারে,
পশুপক্ষী পাবে তার নীড় থাকবে পরম সুখে।
পেটের দায়ে গাছ ছেদন করছে এই প্রাণহীন গাছ,
প্রকৃতির ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে।
সকল জীবের জীবন আছে এই বৃক্ষরাজির হাতে,
অবুঝ হয়ে আজও মানুষজন বন ধ্বংস করে।
বৃক্ষ ধ্বংস আজ জীবনদায়ী অক্সিজেনের হত্যা,
বোধ জাগিয়ে তোল সবে এই অরণ্য ধ্বংস না করে।
এসো আমরা সবে মিলিত হয় গাছ লাগাই প্রাণ বাঁচাই,
সোচ্চার হও সবে লাবণ্যময়ী অরণ্য ভূমি রক্ষা করো তবে।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি-
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের খুব ছোট একটা রাজ্য ।ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশের ঠিকানা ।রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে দূর্জয় নগরে আমার জন্ম ।ছোটবেলা আমি খেলাধুলা করতাম।গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষা শুরু ।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে।স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহারাজা বীরবিক্রম কলেজে।এরপর কোলকাতা নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি। ১৯৯৬ সালে শিক্ষা দপ্তরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পদে শিক্ষকতা শুরু