আগমনীর বার্তা

-তনুশ্রী বসু (পাত্র)

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

বাংলায় ছয় ঋতু বারো মাস

শরৎ রানী তৃতীয় ঋতু জানি,

গ্রীষ্ম, বর্ষা পর এলো শরৎ রানী

দূর আকাশে মায়ের আগমনী।

কাশ ফুলগুলো দুলছে হওয়ায়

বাতাসে বড়ই আনন্দ খুশী,

ভোরের শিশিরে হাত ভিজে যায়

আকাশে সোনা রোদ্দুরের হাসি।

শিউলি তলায় গিয়ে দেখি!

ওরা রয়েছে আমারই অপেক্ষায়,

মিষ্টি গন্ধে মনভরে যায় আমার

এমনি আনন্দ মায়ের কৃপায়।

জলেতে পদ্মরা ভাসে খুশীতে

রাজ হংসীরা জলকেলি করে,

ওদের নিজেদের সুন্দর ভাষায়

নীলাম্বরী শাড়িতে দিগন্ত মন ভরে।

মাগো এবার তুই আয় “মা” করে শুধুই

অসুরদের নিধন ব্রত নিয়ে মর্তে,

শেষ কর মা অত্যাচার, অনাচার, সন্ত্রাস

বাঁচা “মা” আমাদের দে, আনন্দ করতে।

দূর হতে শুনি তোর পদধ্বনি

আগমনী গানের সুর, বহুদূরে ভাসছে,

জগৎ আলো করে, মহামায়া “মা” আসছে

মনটা আমার আনন্দে খুশীতে নাচছে।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতি:-

আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর তিনেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*