
ভাঙা ঘর
-বিনয় জানা
∞∞∞∞∞∞∞
ভাঙা ঘর জানে, কি ভাঙবে নতুন করে?
কতো ঝড়, কতো বন্যা সয়েছে বারবার!
আজ ঝড় কিংবা বান যাই আসুক,
নির্ভয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ঘরটা!
ঘরটা বুঝছে-ভাঙার কি ভাঙবে আর?
যতবার ভেঙেছে ততবার দাঁড়িয়েছে সে!
শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে ঝড়ের মুখোমুখি,
ততবার মনকে শক্ত করে গড়েছে আবার!
একদিন যাদের রক্ষক ছিল ঘর,
তারাই হাত ছেড়ে চলে গেছে দূরে!
তবুও শিরদাঁড়া সোজা রেখে,
দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘর অবিচল!
সে বুঝেছে-পড়ে গেলে, উঠে দাঁড়াতে হয়
দাঁড়াতে-ই হয় শেষ-কে সম্বল করে!
হাত ধরে তুলবার কেউ নেই পাশে,
এগিয়েও আসবে না কেউ কোনদিন!
সে শিখেছে-বদরক্ত জমিয়ে রাখতে নেই;
বের করে দিতে হয় শরীর থেকে!
নইলে ইঁদুর বাসা বাঁধবে কোণে কোণে,
খোকলা করে দেবে হাড় মাংস!
ঘরটা আজ ভীষণ কষ্টে আছে ঠিক,
তবে নিজেকে শক্ত করেছে পাথরের মতো!
সে বুঝেছে-ক্ষমাই পরম ধর্ম!
তাই ক্ষমা করেছে তাদের, যারা ছেড়ে গেছে!
∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:
নাম: বিনয় জানা পিতা: ঈশ্বর সুধীর চন্দ্র জানা মাতা: ঈশ্বরী অন্নপূর্ণা দেবী গ্রাম : বাড়সুন্দ্রা পোস্ট: ঈশ্বর দহ জালপাই জেলা: পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গ, ভারত কবিকে কবি না বলে পাঠক বলাই সমীচীন। কারণ-কবি মূলতঃ পাঠক। সবার লেখা পড়তে পড়তে মাঝেমাঝে কিছু লেখার ইচ্ছা করে। তাই, কবি তার কর্মজীবনে যে সব নুড়ি পাথর কুড়িয়ে পেয়েছে সেগুলোর কাব্য রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে মাত্র। সবার ভালো লাগলেই কবি খুশি হয়।