
বিসর্জনের বাজনা
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
বিসর্জনের বাজনা, ওই শোনা যায়,
আজ পাড়ায় পাড়ায়, ওই যে শুনি,
আসবে মা আবার, একটি বছর পর,
ঘরে বসে বসে, সেই দিনটিই গুনি।
দীর্ঘ একটি বছর, অপেক্ষার পর,
“মা”, মর্তে পা রাখেন, অবশেষে,
দেখেছি আমি, মায়ের মুখে চিন্তার,
বলিরেখা, সমস্ত মুখেতে ভাসে।
মর্তের এই দূরবস্থা, বন্যা দেখে,
মায়ের চোখে আসে শুধু জল,
কি দুরবস্থা দেশের, কান্নাই সর্বত্র,
আমি কি করি, তোরা এবার বল?
চারিদিকে শুধু খুন, ধর্ষণ অনাচার,
মানুষ হারিয়েছে, বিবেক আর বুদ্ধি,
লোভী, হিংসুটে স্বার্থান্বেষী, বর্বর,
হয়নি ওদের, আজও, আত্মশুদ্ধি।
সন্ত্রাস আর যুদ্ধতে, ভীত সন্ত্রস্ত,
প্রতিটা মানুষের, মন অসুস্থ,
শান্তি নেই, আমার, বাপের দেশে,
নানান যন্ত্রণায়, হয়েছে অতিষ্ঠ।
এ সব দেখে, মায়ের মনে অশান্তি,
বাপের ঘরে, এমন দেখে, চোখে জল,
শান্তিতে থাকতে, পারেনি মা তো,
মায়ের চোখেও জল, পড়ছে অনর্গল।
সিঁদুর খেলায়, কানেকানে বলি,
মাগো, আবার বছরপরে, আসিস,
শান্তিসুধা আর আনন্দ, সঙ্গে নিয়ে,
তোর মর্তের, সন্তানদের, সুখে রাখিস।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর তিনেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।