মায়ের অবদান

– হাসানুজ্জামান হাসান

♦♦♦♦♦♦♦♦

ছেলে প্যান্টের কান ধরে ছোটে মায়ের ভয়ে মায়ের আগে

মা ছোটে তার পিছে সেই ভয়ে ছেলে দ্রুত ভাগে।

মা দেয় হুঙ্কার বলছি দাঁড়া ওরে লক্ষ্মীছাড়া

মায়ের হাঁকে ছেলে যে ভয়ে হয় পাড়া ছাড়া।

সারাদিন নাওয়া নেই খাওয়া নেই ছেলের খোঁজে

ছেলেকে তাড়া দিয়ে গুমরায় মা ছেলে তো নাহি বোঝে

ভয়েতে লুকায় ছেলে সারাদিন সে ঘরে নাহি ফেরে

মা সারাদিন ঘরে বাইরে করে ছটফট ছেলের তরে।

মা কাজ করে দিনভর সংসারে মন নেই তার কাজে

রাগ মিটে যায় দু্ঃখ আসে তার ছেলের লাজে।

এমন দশ্যি ছেলে কথা নাহি শোনে কথা নাহি মানে

সারাদিন খায়না ছেলে খায়না মা কেউ তো অনুরোধ নাহি শোনে।

রাগ হলে শাসন করে মা তবুও দুঃখ পায় নিজ শাসনে

ছেলে হোক সবার সেরা চায় যে মা মনে মনে সর্বক্ষণে ।

রাতে মাথায় বুলিয়ে হাত মা কেঁদে বলে ছাড় সব বাঁদরামি।

বলে ওরে মোর বাপ করিসনা এমন পাগলামী।

দুঃখের দিন শেষ হবে সেই দিন যেদিন তুমি মানুষ হবে

সহস্র জ্বালা জুড়িয়ে যাবে মোর যখন তুমি সবার উর্দ্ধে রবে।

এই আশা আকাঙ্খা নিয়েই আমাদের মা জননী কাটায় জীবন

মায়ের ঋণ শোধ হবে না কখনো যত‌ই সেবা দাও সর্বক্ষণ।

♦♦♦♦♦♦♦♦

কবি পরিচিত-

তিনি  পশ্চিম বঙ্গ সরকারের অধীনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। অবসর সময়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করেন আর ফাঁকে ফাঁকে কবিতা লিখেন শখের বশে নেশার মতো।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*