জাতীয় প্রতীক

-সিরাজুল ইসলাম মোল্লা

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

মম সশ্রদ্ধ সালাম তোমায় মহান জাতির মহান নেতা,

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির পিতা।

জাতীয়তায় আমরা বাঙালি,এবাংলা আমাদের দেশ,

জাতীয় ভাষা মাতৃভাষা বাংলা,আমরা গর্বিত অশেষ।

জাতীয় লাল সবুজ রঙে আঁকা মম জাতীয় পতাকা,

সাগর সমান রক্ত দিয়ে অশ্রু দিয়ে স্বপ্ন নিয়ে আঁকা।

দাঁড়িয়ে গর্ব বাংলার জাতীয় স্মৃতিসৌধ শহীদমিনার,

ইতিহাস ঐতিহ্য বয়ে যায় পদ্মা মেঘনা যমুনা সবার।

চেতনায় প্রেরণায় শক্তি আনা জাতীয় কবি নজরুল,

বিলের তোয়ে ফোঁটা শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল।

মাছে ভাতে বাঙালির প্রিয় ইলিশ পদ্মায় শোভা পায়,

মিষ্টি সুরে যায় ডেকে জাতীয় পাখি দোয়েল বাংলায়।

শ্রী শক্তির প্রতীক হয়ে সুন্দরবনে আছে জাতীয় বাঘ,

বড়ই পেয়ারার সাথে জাতীয় কাঁঠাল স্বাদে শতভাগ।

জাতীয় বৃক্ষ আমগাছ সবুজ সমারোহ বাংলার ছায়া,

বাংলার আকাশ তলে জাতীয় কাবাডি জাতির হায়া।

আছে জাতীয় উৎসব নববর্ষ পহেলা বৈশাখ বাংলার,

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।

আছে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম বন্দেগীর,

হাজির ধনী গরীব মুসলিম সবাই করি প্রার্থনা মুক্তির।

চার মূলনীতি দুপাশে তাঁরা হয়ে মাঝে পাটপাতা লয়ে,

ধান শীষের মাঝে তোয়ে শাপলা জাতীয় প্রতীক হয়ে।

গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র-নিরপেক্ষতা-সার্বভৌমত্ব মূলনীতি,

জাতীয় গীত আমার সোনার বাংলা ভালোবাসি অতি।

∼∼∼∼∼∼∼∼∼

কবি পরিচিতি

সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ কবি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (পিতা আব্দুল মান্নান মোল্লা ও মাতা হাজেরা বেগম) বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অন্তর্গত রামপাল ইউনিয়নের জোড়ার দেউল গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। ছয় ভাই ছয় বোনের মধ্যে কবি ১১ তম। উত্তরসূরী হিসেবে স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ১০ বছর বয়স হতেই কবির লেখালেখির হাতে খড়ি। এছাড়াও পছন্দ দাবা, আড্ডা দেওয়া ও লেখালেখি করা। তিনি এক সময় প্রথম আলো ব্লগ সহ অন্যান্য ব্লগে লেখালেখি করেন, এবং বর্তমানে ফেইসবুকে বিভিন্ন অনলাইন সাহিত্য গ্রুপে লেখালেখি সহ সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*