
পাহাড়ী সৌন্দর্যের কঙ্কাল
-বিজয়া মিশ্র
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
উত্তরের পাড়াড়ী সুন্দরতার কেন্দ্র এখন বন্যা বিধ্বস্ত
হাড় জিড়জিড়ে কঙ্কালসার বালি পলির
বিচ্ছিন্ন ধ্বংসস্তূপের চেহারায় খুঁজছে অস্তিত্ব…
সর্বত্র কেবল সব হারানোর হাহাকারে
বুক ভেসে যাওয়া ক্ষুধার্ত মুখের সারি।
সহসা ভয়াবহ প্লাবন আর জলোচ্ছ্বাস
বিরতি নেওয়ার আগে
ছিনিয়ে নিয়েছে অসংখ্য প্রাণ ভিটেমাটি চাষের জমি
কোথাও নদীগর্ভে ঠিকানা হারিয়ে
সদ্যোজাত বুকে তীরের খোঁজে ঠাঁই নিয়েছে অনাশ্রয়ের আশ্রয়ে।
নিজস্ব ঠিকানা এখন ওদের চোখে কেবল দুঃস্বপ্নের ইতিকথা
হোম স্টে গুলো গুঁড়িয়ে খান খান
প্রবল বন্যতার মতো সহসা সাহস হারিয়ে মাথা গুঁজে
মিশে গেছে পাথুরে নগ্নতার বুকে।
তিস্তা তোর্সা জলঢাকার শাখারা ফুঁসে ওঠে
কেড়ে নিয়েছে স্বপ্ন দেখা শ্রমের হৃৎস্পন্দন।
দু হাত বাড়িয়ে নিরন্ন শিশুরা
বাকশক্তিহীন চোখে শুধু নিঃশর্ত অপেক্ষায়
ভেসে যাওয়া বই খাতা আর ইস্কুল বাড়ি
যদি আবার ডাকে কখনও…
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি
বিজয়া মিশ্র পাহাড়ীর জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। নিত্য দারিদ্র, আশেপাশের কিছু মানুষের প্রাত্যহিক বিরূপ মনোভাব,কোনঠাসা করার প্রয়াস মিথ্যে করে বড় হয়ে ওঠা। আশৈশব বিভিন্ন লড়াই চিন্তা চেতনাকে পুষ্ট করেছে। বর্তমানে কলকাতাবাসী ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই।বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান । বর্তমানে লাইফ কোচ এবং সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলর।সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই কবির কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।