
কেমনে ভুলিস আমায়
-তনুশ্রী বসু(পাত্র)
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
হৃদয়ের আঙ্গিনায়, অনেক যন্ত্রণা,
নিজের সবটা, উজাড় করে দিয়েছি,
তোকে, তুই বুঝিসনি, একটুও,
প্রতিদানে শ্রদ্ধা, ভালবাসা চেয়েছি।
মহা মূল্যবান, বিশ্বাস আর স্নেহ,
দিয়েছি তোকে, আজীবন ধরে,
কেমনে ভুললি, এই কয়েক বছরে?
আমি তোর গর্ভধারিনী, “মা” রে!
জঠোরের জ্বালা, ভোলা কি যায়?
সেতো আপন, অন্তরের আর্তনাদ,
ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে, শুধুই যন্ত্রণা,
আমার এক, অদ্ভুদ আনন্দ, বিষাদ।
তোর মুখ, দেখার পর থেকেই,
কি অদ্ভুত, রহস্যময়, অনুভূতি!
সবটাই খুশী, সোনাঝরা দিন,
মনের মধ্যে, এক আলোর দ্যুতি!
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত কেটে যায় ধীরে,
মায়ের কোলে, ছেলে চলে বেড়ে
প্রতিটি মুহূর্ত হাসি, আনন্দ, মজা,
দুঃখ যেটুকু ছিল, ফেললাম ঝেড়ে।
এখন, ছেলে অনেক বড় হয়েছে,
মা হয়েছে, শত্রু তার, জীবনের যন্ত্রণা
খুব তাড়াতাড়ি, চলে যাব, দূরে আকাশে,
হারাবে স্মৃতি, অতীতের সবই সান্ত্বনা।
∼∼∼∼∼∼∼∼∼∼
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর তিনেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।