
দ্যুতিময় দীপালোকে
-বিজয়া মিশ্র
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
জগতের অমানিশা প্রদীপ্ত হোক
জ্বলুক আলো দীপাধারে ঘুচুক দুঃখ শোক,
আজি দিকে দিকে প্রাণের উৎস হোক এই দীপালোক
যেথায় যত জমেছে আঁধার সব নির্মূল হোক।
আলোর প্রদীপ আপনার বুকে পোড়ায় সলতেখানি,
নীরব স্নিগ্ধ আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে এই ধরণী।
মূঢ় অন্তরে প্রবেশিলে শিখা
চেতনালোকে নবীন দীক্ষা
মানব হৃদয়ে জাগরিত হবে উদারতার আলোক,
সেই রশ্মিতে তে ম্নান হয়ে যাক সব হারানোর শোক।
কে আছো দাঁড়ায়ে তুমি নতশিরে
কে রয়েছ ভীত ভাসো নিজ নীরে!
কে তুমি হারায়ে আপনার সুখ কাঁদিছো আকুল হয়ে
প্রদীপের আলো কহে নিরবধি ওঠো তুমি নির্ভয়ে,
আলোর এ লগ্নে হও প্রস্তুত হতে হবে আজ দিশারী
বিষাদ ঘুচাতে ঘনঘোর রাতে হাতে হাতে হও তৈরী।
কত কথা কহে প্রদীপের নীরবতা
যুগ যুগান্তে কত নিশি রাতে ঘুচায় সে মলিনতা।
শুধু রেখো মনে এই শিখা যেন না পোড়ায় কারো আশা
এই আলো হোক ভয় ঘুচাবার শুভ চেতনার দিশা।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি
বিজয়া মিশ্র পাহাড়ীর জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। নিত্য দারিদ্র, আশেপাশের কিছু মানুষের প্রাত্যহিক বিরূপ মনোভাব,কোনঠাসা করার প্রয়াস মিথ্যে করে বড় হয়ে ওঠা। আশৈশব বিভিন্ন লড়াই চিন্তা চেতনাকে পুষ্ট করেছে। বর্তমানে কলকাতাবাসী ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই।বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান । বর্তমানে লাইফ কোচ এবং সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলর।সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই কবির কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।