
বন্ধুর বাড়ি
-প্রান্তিক ধর পার্থ
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কি আনন্দ লাগছে মনে যাচ্ছি বন্ধুর বাড়ি
পথের মাঝে বিশাল যমুনা দিতে হবে পাড়ি।
ও মাঝি ভাই শুনছো নাকি পেছন ফিরে চাও
দু আনা দেবো তোমায় যদি ওপাড়ে নিয়ে যাও।
দু আনায় হবেনা পথিক ছয় আনা আমার চাই
এতে যদি না হও রাজি আমি এবার তবে যাই।
আচ্ছা মাঝি ছয় আনাই দিবো তবুও করো পাড়
আর বিলম্ব করোনা মাঝি এবার টানো তুমি দাড়।
আচ্ছা পথিক এই ছাড়লুম সোনার তরী খানা
পাখির মতো উড়ে যেতাম থাকলে মোর ডানা।
জানো মাঝি মনে আমার সইছেনা কোনো তর
কখন যে পাবো দেখা আমার বন্ধু সুজনের ঘর।
বারো বৎসর কেটে গেলো পাইনি বন্ধুর দেখা
গিয়েছিলাম বিলেতে মাঝি করিতে পড়ালেখা।
লেখাপড়া শেষ করে আজি ফিরছি আপন গাঁয়ে
বন্ধুর বাড়ি পৌঁছাতে মাঝি উঠেছি তোমার নায়ে।
বন্ধুর বাড়ি উঠোন জুড়ে নানান ফল ফুলের বৃক্ষ
জানো মাঝি আমার বন্ধু অতিথি আপ্যায়নে দক্ষ।
বন্ধু সুজন আমায় দেখে জানি হবেন ভারি খুশি
মনের আনন্দে গাইবে গান বাজাইবে আরও বাঁশি।
দেখো মাঝি ঐ দূরে দেখা যাচ্ছে বন্ধু সুজনের গাঁ
আগে আমায় সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে মোর মা।
থামো এবার মাঝি ভাই পাড়ে বাঁধো নায়ের দড়ি
মাঝি ভাই ভালো থেকো ঘুরে আসি বন্ধুর বাড়ি।
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি
প্রান্তিক ধর পার্থ একজন বাংলাদেশি তরুণ লেখক ও কবি। তিনি ৫ জুন ২০০৪ সালে টাঙ্গাইল জেলাধীন মির্জাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর থানা হেমনগর গ্রামে। পিতা স্বপন ধর এবং মাতা শ্রীমতি পাপিয়া রাণী ধর। প্রান্তিক ধর পার্থ ২০২০ সালে চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি পাশ করেন তার পর তিনি সরিষাবাড়ি থেকে সম্মানের সহিত উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে ডিগ্রী অধ্যায়ন করেন। তার সাহিত্য অফুরান অনুরাগ সেই ছেলেবেলা থেকেই তার প্রকাশিত বেশ কিছু যৌথ কাব্য গ্রন্থ রয়েছে “শব্দের ডাইরি “কাব্য, নারীত্বের বেদনা, আহত গোলাপ,শুভ্রতার ছোঁয়া, স্বর্ণাক্ষরে লেখা কাব্য, বসন্তের পাখি,কাঠগোলাপের প্রেম, কাশফুলের ছোঁয়া ইত্যাদি ।এছাড়া সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি তিনি ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনে কর্মরত থেকে যক্ষা ও কুষ্ঠ রোগীর নিত্য সেবা করে যাচ্ছেন। প্রকৃতি মানবতা- নান্দনিকবোধ প্রতিনিয়ত তাকে সৃজনশীল কর্মে অনুপ্রাণিত করে।