
ভাবনা
-বিনয় জানা
≈≈≈≈≈≈≈
একটা ভাবনা রোজ কুরে কুরে খায়!
ভাবি-কে, কি এবং কাকে হারিয়েছে?
এইতো সময় চলছে আপন গতিতে,
পৃথিবী নিয়ম মেনে ঘুরছে নিজ কক্ষপথে।
দিন গিয়ে রাতও আসছে,
ঋতু বদলাচ্ছে সঠিক সময়ে,
বাতাস বইছে যেমন বইত আগে!
মানে সবই ঠিক আছে, আগের মতন!
বুঝতে পারি-কেউ কিচ্ছু হারায়নি!
বরং তুমি আর আমি পেয়েছি অনেক!
সীমাহীন প্রাপ্তি তোমার!
যেমন, কুমারী থেকে শ্রীমতী হয়েছো;
পেয়েছো নতুন ঘর, নতুন মানুষ!
কপালে সূর্যের মতো লাল টিপ,
দুহাতে শঙ্খ বলয়, আরও কত কি!
হয়তো কিছুদিন পর মা হবে।
হ্যাঁ, আমিও পেয়েছি কিছু,
ফাঁকা ঘর, একক জীবন,
ঘুমহীন দীর্ঘ রাত,
ভাঙা ভাঙা স্বপ্নের কোলাজ!
বুকের বাঁদিকে টনটনে ব্যাথা,
আর স্মৃতির সরণিতে ঝরে পড়া পাতা!
কেউ কেউ বলে-তুমি ছেড়েছ আমায়
কেউ বলে-আমি যাইনি তোমার কাছে!
সত্যিই কি তাই?
না, আমরা দুজনেই বুঝতে ভুল করেছি;
শিকড় কেটে দিলে গাছ বাঁচতে পারে?
তবে আমরা বেঁচে আছি,
নিজ নিজ পৃথিবীতে
যে যার মতন! কেউ সুখী, কেউ নয়!
যে কোনো খেলায় দুই পক্ষ থাকে,
একপক্ষ জেতে, অন্যপক্ষ হারে!
যে-পক্ষ জিতে তাকে নিয়ে মত্ত সবাই,
আর প্রতিপক্ষ মুষড়ে পড়ে হারের যন্ত্রণায়!
খেলা শেষে দর্শকের মনে প্রশ্ন জাগে,
কে, কি, কেন হারিয়েছে? কাকে হারিয়েছে?
≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি:
নাম: বিনয় জানা পিতা: ঈশ্বর সুধীর চন্দ্র জানা মাতা: ঈশ্বরী অন্নপূর্ণা দেবী গ্রাম : বাড়সুন্দ্রা পোস্ট: ঈশ্বর দহ জালপাই জেলা: পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গ, ভারত । কবিকে কবি না বলে পাঠক বলাই সমীচীন। কারণ-কবি মূলতঃ পাঠক। সবার লেখা পড়তে পড়তে মাঝেমাঝে কিছু লেখার ইচ্ছা করে। তাই, কবি তার কর্মজীবনে যে সব নুড়ি পাথর কুড়িয়ে পেয়েছে সেগুলোর কাব্য রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে মাত্র। সবার ভালো লাগলেই কবি খুশি হয়।