ঝরে পড়া মিষ্টি বিকেল

-মীর সেকান্দার আলী খোকা

∞∞∞∞∞∞∞∞

ভেতরে তৃপ্তি নেই, ধুলোপড়া শূন্য ঘর

খা খা করছে উঠান।

অদেখা রোদের আঁচে ঝরে পড়েছে মিষ্টি বিকেল

বসন্ত চলে গেছে একটি অবেলা বেলায়।

তুমি ছিলে,

ছোট ছোট কথার ঝড়ে ঝড় উঠতো বেশ

মনে হতো মুখরোচক কোন মিষ্টি ছুঁয়েছে আজ।

বেলকনিটা শূন্য,কেউ বসে না

শূন্য চেয়ার।

সাজেনা ঘরের কনে ফুলদানিতে ফুলের সুবাস,

নুয়ে পড়েছে অযত্নে,রৌদ্র-তাপে টবে সেজে থাকা

বাহারি গাছ।

আমাকে শূন্য করে কি শূন্য হওনি তুমি ?

এই যে উঠান এই যে ঘর

এপাশ ওপাশ ছুটে চলা তোমার নুপুরের ঝংকার।

হাতের চুরির ঝনঝনানি কতদিন শুনি না কানে,

কবে আসবে তুমি ?

কথা ছিল না এমন,

ডিভোর্স চেয়েছিলে অজ্ঞতাবসে আমার

তুমিও অজ্ঞ ছিলে ক্রোধে।

কতদিন হয়ে গেল হয় তো খুলে দেখোনি পেপারস,

নিয়ে গেছো দেনমোহরের টাকা

ভাবছো কি হয়ে গেছে সব শেষ!

আমার শেষ কথাটি হয় তো মনে নেই তোমার,

যদি কখনো মন কাঁদে খুব বেশি,আসতে ইচ্ছে হয়

চলে এসো নির্দ্বিধায়।

পেপারস খুলে দেখো অংক ঠিক রেখে

যেতে বলেছি তোমায়।

তোমার উঠান তোমার আছে সেজে আছে আসমান,

বর্ষা হয়ে এসো তুমি ভিজাতে উঠান।

তুমি আসলে তৃপ্তি হাসবে সরে যাবে ধুলো সব,

ফুলদানিতে আসবে সুবাস

আবার রঙে সেজে উঠবে বাহারি গাছ,

ঝরে পড়া মিষ্টি বিকেল।

∞∞∞∞∞∞∞∞

পরিচিতি- 

কবি মীর সেকান্দর আলী খোকা, ১৫ জুন, ১৯৬৬ ইং, বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত: মীর মোক্তার আলী, মাতা মৃত: লতিফা খাতুন, ৫ ভাই, ৩ বোন, ভাই বোনের মধ্যে কবি সপ্তম। শৈশবের অনেকটা সময় রাজশাহী অঞ্চলেই কেটে গেছে, ছোট থেকেই লেখালেখিতে অভ্যস্ত। কবি যখন চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিলেন সে সময় তিনি প্রথম অসমাপ্ত একটি গজল লিখেছিলেন। কবির লেখা কবিতা গুলো একসময় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রসাদ প্রকাশিত হতো, যেমন-দৈনিক সানশাইন রাজশাহী, দৈনিক উত্তরা+, সংজ্ঞা, দিনাজপুর, সাপ্তাহিক জনরব+আলপনা, ঠাকুর গাঁও। মাসিক ম্যাগাজিন একদিন প্রতিদিন+প্রিয়তমেষু, ঢাকা। বর্তমানে অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা-কবিতার পাতা সহ বিভিন্ন অনালাইন পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। একক কাব্যগ্রন্থ আলো ছায়া ২০২৫ শে ঢাকা বইমেলাতে প্রকাশিত হয়েছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ সময়ের রঙ, এবং লাল ঘুড়ি নীল মণ ২০২৬ শে বইমেলা ঢাকাতে থাকছে ইনশাল্লাহ। বিবাহিত জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক, স্থায়ী নিবাস ১ নং ওয়ার্ড, পৌরসভা, জেলা সদর ঠাকুরগাঁও। সকলের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*