পৃথিবীর হাসি কান্না
-তনুশ্রী বসু (পাত্র)
∞∞∞∞∞∞∞∞
যেদিন স্রষ্টা, সৃষ্টি করেছিলেন পৃথিবী,
সেদিন ছিল শুধুই হাসি, আনন্দের ঢেউ,
সেদিন মানুষ ছিল কম, আদম আর ইভ,
নিস্তব্ধ এক দেশ, জনমানব ছিলনা কেউ।
ধীরে ধীরে জন্ম হয়েছিল, বিভিন্ন প্রাণীর,
পৃথিবীর স্পন্দন হয় শুরু, শুরু হয় আনন্দ,
প্রানের সঞ্চারে শুরু হয়, চারিদিকে ভালবাসা,
ভালবাসায় মানুষ, পশু, সবাই মুক্ত সদানন্দ।
পাশাপাশি থাকতে থাকতে, গড়ে উঠল বন্ধুত্ব
অন্যদিকে আরম্ভ হল, গোপন কুটিল শত্রুতা,
বন্ধুত্ব আর শত্রুতার মাঝে, আসে কুটিল জন
ভিতরের বন্ধুত্ব, পরিনত হয়, চরম দায়বদ্ধতা।
ভাঙতে থাকে, ভালবাসার মনি কোঠা, আহত হয়
পবিত্র ভালবাসা, ধীরে কলুষিত হয় সন্দিগ্ধ মন,
মন বলতে বোঝায়, আমাদের চেতনা, অস্তিত্ব, চিন্তা,
আমরা বুঝতে পারি, কে আপন, কে যে পর, জনগণ।
আজ ভালোবাসা, প্রায় বিলুপ্ত, শুধুই মেকি কান্ড,
এইসব দেখে পৃথিবী শুধু, গুমড়ে গুমড়ে কাঁদে,
নেই গাছপালা, পুকুর, খেলার মাঠ, ওঠে মল, বহুতল,
আজ পৃথিবী নিস্তব্ধ, মানুষ নামের জীব, পড়েছে ফাঁদে।
∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি:-
আমি তনুশ্রী বসু পাত্র। বাবা চন্ডিচরণ পাত্র ও মা চিত্রা পাত্রর প্রথম সন্তান। হুগলি জেলায় চুঁচুড়াতে জন্ম। স্কুল, কলেজও সেখানেই। বিয়ে হয়েছে ১৯৮৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী, এক মাত্র ছেলের সংসার হোয়েছে বছর চারেক আগে। তারা যে যার নিজের কর্মস্থলে থাকে। আমরা দুজন স্বামী স্ত্রী বাড়িতেই থাকি। আমি একজন সাধারন গৃহিণী। সংসারের একঘেয়েমি কাটাতে আমি লেখা ও গানের মধ্যে সময় অতিবাহিত করি। আমার স্বামী এই ব্যাপারে আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় ও সাহায্য করে। সাহিত্যকে যারা ভালোবাসে তারা লেখার মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অপরের সামনে রাখার চেষ্টা করে। তার প্রকাশ কবিতা, অণুগল্প কিংবা প্রবন্ধে দেখা যায়। লেখার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকে লিখতে ভালবাসি আর তার প্রকাশে আরও আনন্দ পাই। তাই লিখি আর লিখেও চলব।

