রক্তালোক
-সন্দীপ সাঁতরা
∞∞∞∞∞∞∞
আমি ঈশ্বরের নীরবতা ছিঁড়ে লিখেছি নিজের নাম।
রাত্রির অন্ধকারে আলো কাঁদে, আমি হাসি।
চাঁদ তাকিয়ে থাকে।
আমার শরীর মৃত ঈশ্বরের পুনর্জন্ম।
প্রতিটি শ্বাসে আমি তাঁকে পুনরায় সৃষ্টি করি।
কামনা আমার ধর্মগ্রন্থ, ঘাম আমার প্রার্থনা।
আমি চুম্বনে খুঁজে পাই সৃষ্টির প্রথম উচ্চারণ।
নৈতিকতা আমার শত্রু, মুক্তি আমার ভ্রান্তি।
আমি আগুনে পোড়াই বিশ্বাসের অস্থি।
ঈশ্বর ছিলেন এক রসায়নবিদ,
রক্ত আর আলো মিশিয়ে বানিয়েছিলেন আমাকে।
এখন আমি নিজেই তাঁর সূত্র,
আমার দেহের ক্ষতই নতুন ধর্ম।
∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি-
সন্দীপ সাঁতরা — কবি, লেখক ও আবৃত্তিকার।
১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় ব্লকের সবুজে ঘেরা গ্রাম পিঠাপুরা-তে জন্ম।
শৈশব থেকেই প্রকৃতির নীরবতা ও মানুষের জটিল সম্পর্ক তাকে টেনে নিয়েছে ভাবনার জগতে।
তার কবিতায় মেলে সমাজের দ্বন্দ্ব, প্রেমের কোমল পরশ, বেদনার গভীরতা এবং মানবিকতার আহ্বান।
বহু কবিতা ও গদ্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত হয়ে পাঠকের মনে জাগিয়েছে অনুরণন।
তার কলম শুধু শব্দ নয়.. যেনো এক অন্তর্জগতের সেতুবন্ধন, যা পাঠককে নিয়ে যায় আত্মঅন্বেষণের পথে।

